তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
(১৮৯৮-১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে)
বাংলা ভাষার প্রখ্যাত সাহিত্যক।
১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুলাই তৎকালীন বঙ্গাদেশের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়ের নাম প্রভাবতী দেবী।
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে লাভপুরস্থ যাদবলাল হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এরপর তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। এই সময় তিনি গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের সাথে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি সাউথ সুবাবর্ন (বর্তমান আশুতোষ কলেজ)-এ ভর্তি হন। কিন্তু রাজনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি লেখাপড়া শেষ করতে পারেন নি।
১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তিনি কারাবরণ করেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে, রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম উপন্যাস 'চৈতালী ঘূর্ণী' প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তিনি বাংলা ভাষায় নানা ধরনের গল্প ও উপন্যাসের মধ্য দিয়ে সাহিত্যকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার বাগবাজারে বাসা ভাড়া
করে গ্রাম থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে তিনি বাসা
বদল করে বরানগরে চলে যান।
১০৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মৃত্যবরণ করেন।
তিনি মোট ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পের বই, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি
আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন। তাঁর বহু কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র
নির্মিত হয়েছে। এসকল ছবির কোনো কোনোটি তিনি গানও রচনা করেছেন।
তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার,
পদ্মভূষণ-সহ বহু পুরস্কার লাভ করেন।
রচনাবলী
উপন্যাস
|
|
|
|
নাটক