যাষ্টিক
প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম সঙ্গীতজ্ঞ।

আনুমানিক ৩০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে যাষ্টিক সঙ্গীত বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি তাঁর অভিনয় দর্পণ গ্রন্থে মন্দ্র-মধ্য-তার স্থানে ১২টি মূর্চ্ছনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই গ্রন্থ থেকে জাতিরাগ, গ্রামরাগ, ভাষারাগ এবং দেশীরাগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। 

৫০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে যাষ্টিকের রচিত সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাদি ব্যবহার করেছেন।  এই গ্রন্থে যাষ্টিকে উদ্ধৃতিতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নানাবিত বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

যাষ্টিক সামগ্রিকভাবে সেকালের রাগগুলোকে
যাষ্টিক গ্রামরাগের অধীনস্থ করে- ভাষা, বিভাষা এবং অন্তরভাষা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।  তাঁর বিবরণে পাওয়া যায় রাগের একটি ক্রমবিকাশের ধারা। তাঁর মতে- গ্রামরাগ থেকে উৎপন্ন হয়েছে ভাষারাগসমূহ। এই ভাষা রাগ থেকে উৎপন্ন হয়েছে বিভাষা রাগ এবং বিভাষা রাগ থেকে উৎপন্ন হয়েছে অন্তরভাষা রাগগুলো। তিনি তাঁর সময়ে প্রচলিত ৭৩টি রাগকে গ্রামরাগের অন্তর্গত করে রাগের শ্রেণিকরণ ও তালিকা প্রণয়ন করেছিলেন। এই তালিকাটি হলো-


তথ্যসূত্র: