বিষয়:
অতুলপ্রসাদ সেনের গান।
গান সংখ্যা: ১৮৬
শিরোনাম: বঁধুয়া, নিদ নাহি আঁখিপাতে
বঁধুয়া, নিদ নাহি আঁখিপাতে।
আমিও একাকী, তুমিও একাকী
আজি এ বাদল-রাতে।
ডাকিছে দাদুরী মিলনতিয়াসে,
ঝিল্লি ডাকিছে উল্লাসে।
পল্লীর বঁধু বিরহী বঁধুরে
মধুর মিলনে সম্ভাষে।
আমারো যে সাধ বরষার রাত
কাটাই নাথের সাথে।-
নিদ নাহি আঁখিপাতে।
গগনে বাদল, নয়নে বাদল,
জীবনে বাদল ছাইয়া;
এসো হে আমার বাদলের বঁধু,
চাতকিনী আছে চাহিয়া।
কাঁদিছে রজনী তোমার লাগিয়া,
সজনী তোমার জাগিয়া।
কোন্ অভিমানে হে নিঠুর নাথ,
এখনো আমারে ত্যাগিয়া?
এ জীবন-ভার হয়েছে অবহ,
সঁপিব তোমার হাতে।
নিদ নাহি আঁখিপাতে।
পুত্র দিলীপকুমার কলকাতা গিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে মা হেমকুসুমকে লখনউ নিয়ে এলেন।
অতুলপ্রসাদ খুবই খুশি-হেমকুসুম ও অতুলপ্রসাদ অন্তরঙ্গ আন্তরিকতায় নানা গল্প ও গানে
মশগুল। কিন্তু পরদিনই সকালে অতুলপ্রসাদ একটি মামলার কাজে সীতাপুর গেলেন। জুনিয়র
হেমন্তকুমার সঙ্গে আছেন। মামলার বিষয়ে সন্ধ্যায় আলোচনা হচ্ছে-সামনের আকাশ কালোমেঘে
ছেয়ে গেল-ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া, সাদা পুঁতির মালার মতো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে লাগল।
অতুলপ্রসাদ নীরব হয়ে গেলেন-যেন নিজের মধ্যে সমাধিস্থ হলেন। হেমন্তকুমার নিজের ঘরে
চলে যান। কিছুক্ষণ পরে অতুলপ্রসাদের ঘরে এসে দেখেন-ঘরের কোণে টেবিল ল্যাম্পের নিচে
বসে অতুলপ্রসাদ কি যেন লিখছেন আর মাঝে মাঝে গুনগুনিয়ে উঠছেন-পরে একটু জোরে গেয়ে
উঠলেন।