দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান
৪
কাফি । সুরফাঁকতাল
দীন হীন ভকতে, নাথ, কর দয়া,
অনাথনাথ তুমি, হৃদয়রাজ, বিরাজ' নিশিদিন হৃদিমাঝে ॥
তব সহবাস আশে, আনন্দে হৃদয় ভাসে,
তোমা বিনা নিশিদিন মন নাথ নাথ ধ্যায়ে॥
গ্রন্থভুক্তি
১. ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি, পঞ্চম খণ্ড, ৪র্থ গান [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ (১১ মাঘ ১৪০৭ বঙ্গাব্দ)]।
২.
ব্রহ্মসংগীত-স্বরলিপি ৩য় খণ্ড।
প্রাসঙ্গিক বিষয়:
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমলে ঠাকুর বাড়িতে যে সকল সঙ্গীতগুণীরা আসা যাওয়া
করতেন তাঁদের ভিতরে একজন ছিলেন সঙ্গীতগুণী যদুভট্ট। তাঁর রচিত অনেক গানই
ঠাকুরবাড়িতে গাওয়া হতো। এরূপ একটি গান ছিল-
কাফি-সুরফাঁক্তা [মধ্যগতি]
রুম ঝুম বরখে আজু
বাদরবা পিয়া বিদেশে মোরি,
থরথরাত ছতিয়া ন দিশ দিন মন ভাবে ॥
নৈন ন নীঁদ আবে দামিনী দমক লাগে,
উন বিন কল ন পরত নাথ নাথ ধাবে ॥
রহো ন জাত ঘরি পল ছিন তন দহে মোরি,
আবে মদন মাসন জুঝ সময় পাবে।
নিকসত নাহি প্রাণ হো রহী চিত পাখান,
তাপর করত ধ্যান
তান বরষ গাবে
॥
[সূত্র:
রবীন্দ্রসঙ্গীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা
৩য় খণ্ড/প্রফুল্লকুমার দাস। পৃষ্ঠা ৩৫।]
[শ্রবণ
নমুনা।
নীহাররঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়]
[শ্রবণ
নমুনা।
রবি কিচলু]
এই গানের সুরেই দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি রচনা করেছিলেন। আরও পরে একই
সুরে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন একটি গান। গানটি হলো—
তুমি হে ভরসা মম। [গান-২][তথ্য
ও শ্রবণ নমুনা]
আরও পরে ৪১ বৎসর বয়সে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন
—
শূন্য
হাতে ফিরি,
হে [পূজা--৪০০]
[তথ্য]
সুরকার :
স্বরলিপিকার :
কাঙ্গালীচরণ
সেন
সঙ্গীত
বিষয়ক তথ্যাবলী
রাগ:
কাফি
তাল: সুরফাঁকতাল
পর্যায়:
ব্রহ্মসঙ্গীত
লয়:
মধ্যলয় বা-ঢিমা
গ্রহস্বর: ম্জ্ঞা