সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান
| শ্রবণ নমুনা: মানব বন্দ্যোপাধ্যায় | 
               
গান-৩
           আশা। কাওয়ালি
দয়াঘন, তোমা-হেন কে হিতকারী?
দুঃখ সুখে সব বন্ধু এমন কে, শোক-তাপ-ভয়হারী?
সঙ্কটপূরিত ঘোর ভবার্ণব তারে কোন কাণ্ডারী?
কার প্রসাদে দূর-পরাহত রিপুদল বিপ্লবকারী?
পাপদহন পরিতাপ নিবারি, কে দেয় শান্তির বারি?
ত্যজিলে সকলে অন্তিমকালে কে লয় ক্রোড় প্রসারি?
 
গ্রন্থভুক্তি
১. ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি। কাঙালীচরণ সেন-কৃত 
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। 
২.
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি, তৃতীয় খণ্ড, দশম গান [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ, (পৌষ ১৩৯৮ 
খ্রিষ্টাব্দ)]
প্রাসঙ্গিক বিষয়: 
এটি একটি ভাঙা গান। মূল গানের রচয়িতা ছিলেন বিষ্ণুরাম চট্টোপাধ্যায়। 
১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি আদি ব্রাহ্ম সমাজের সাম্বৎসরিক মাঘোৎসবের 
প্রাতঃকালীন অধিবেশনে, বিষ্ণুরাম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বালক-বালিকাদের কণ্ঠে গীত 
হয়েছিল এই গানটি হলো 'জগৎ পিতা তুমি বিশ্ব বিধাতা'। ধারণা করা হয়, এই 
বালক-বালিকাদের দলে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন। 
এই গানের সুরে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন, 'দয়াঘন তোমা হেন কে হিতকারী'। 
উল্লেখ্য বোম্বাইয়ের প্রার্থনাসভায় হিন্দিতে এই গানটি পরিবেশিত হতো। হিন্দি গানটির 
প্রথম চরণ ছিল দয়াঘন তুঝ বীন কো হিতকারী'। এই সুরের আদলে ২৩ বৎসর বয়সে রবীন্দ্রনাথ 
রচনা করেছিলেন 'বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি' 
[তথ্য]। একই সুরের ছায়ায় তিনি ২৪ বৎসরে রচনা 
করেছিলেন 'মিটিল 
সব ক্ষুধা। [পূজা ও প্রার্থনা-৪১] [তথ্য]।
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন।
 
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী
রাগ: আশা।
তাল: কাওয়ালি
অঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ।
পর্যায়: ব্রহ্মসঙ্গীত
লয়: মধ্য
গ্রহস্বর: সা
 
 মূল গান: বিষ্ণুরাম চট্টোপাধ্যায় রচিত গান: জগৎ পিতা তুমি
            সত্যেন্দ্রনাথ 
ঠাকুর: দয়াঘন তোমা হেন
            রবীন্দ্রনাথের 
গান: 'বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির মাঝে', 'মিটিল সব ক্ষুধা'