গান সংখ্যা ১৮৩
ধিন কেটে ধিন ধিন কেটে ধিন
বাজে ঝড়ের ঢাক ।
তার সাথে এ কাঁসি বাজায়
বিঁঝি পোকার ডাক
বিদ্যুৎ বৌ মুচকি হাসে
মেঘ চিকেরই ফাঁকে ।
আর কবির লড়াই চলছে যে ঐ
কে বা হারায় কাকে ।
এক পক্ষে বজ্র কবি
আর তা পালা অলির ঝাঁক॥
শুনহে সব কইল হেঁকে
বজ্র কবিয়াল ।
সবল যে গো তাহারই হয়
জয় যে চিরকাল ।
এই না শুনে মক্ষিরাণী
পাল্টা জবাব দেয়
তাই তো শেষে পায় না পানি
তোমার তরীর হাল ।
ফের কেন আর বড়াই করো
ঢের হয়েছে থাক॥
বজ্র বলে থাকবো কেন
প্রমাণ যদি চাও ।
শাস্ত্র পুরাণ সমান আমার
বচন শুনে যাও ।
সবল আমি আমার কাছে
কেউ ভেড়ে না তাই
এই দেখ না হাতে হাতেই
প্রমাণ দিয়ে যাই ।
এই না শুনে শ্রোতারা সব
হল হতবাক॥
এবার যে গো জবাবে ঐ
মক্ষিরাণী কয়
জ্ঞানের কথা বেশ বলেছে
বাবু মহাশয় ।
তোমার হাঁকে মাটি কাঁপে
ফুল ও পাতা ঝরে।
স্বপ্নে তারা ভরে ।
তোমার আমার মধ্যিখানে
এইটুকু যা ফাঁক॥
শিল্পী : হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ॥ সুর : নচিকেতা ঘোষ ।