গৌরিপ্রসন্ন মজুমদারের সংগীতসংগ্রহ

পাঠ: গান-৯০

পুরুষ এবং নারী তাদের চিরকালের আড়ি
নারী পুরুষ জীবন মরন সাথী হাতি
পুরুষ হল সূর্যকিরণ নারী চন্দ্রকলা কাঁচকলা
পুরুষ নারী সুখ দুঃখের একটি মালায় গাঁথা ব্যাঙের মাথা
হাতটি ধরে সাতটি পাকে ঘোরা কচুপোড়া
অতঃ কিম? ঘোড়ার ডিম!

পাগলা গারদ কোথায় আছে নেই বুঝি তা জানা
ঘোড়ার কি ডিম হয় সেই ডিমের কি হয় ছানা?
ঘোড়ার ডিমের না হোক ছানা চক্ষু ছানাবড়া
পুরুষ নারীর কোনদিনও নেইকো বোঝাপড়া॥

যতই নারী পুরুষ সাজুক পোষাকে হাবভাবে
নারীর গড়ন নারীর ধরণ বদলে কি আর যাবে
শাস্ত্রমতে তাইতো নারীর ঘোমটা খোলাও মানা॥

নারীরা আজ বিদ্রোহিণী পুরুষেরই অত্যাচারে
যা কিছু আজ করে নারী ন্যায্য নিজের অধিকারে।
আগের দিনে মান হলে তো খিল দিত সে গোসাঘরে
রাগলে এখন আর কথা নেই কোমর বেঁধে ঝগড়া করে
ইস্কাবনের বিবি সেজে চালাও বিবিয়ানা (তাই কি হয় মেমসাহেব?)
ইস্কাবনের বিবি সেজে চালাও বিবিয়ানা॥

আগের দিনে একটা তো নয় করত পুরুষ দশটা বিয়ে
গায়ের জোরে দাসী করে পা টেপাত বউকে দিয়ে,
ক্ষেপে গেছে আজকে নারী আগের মত নেইতো বোকা
তাদের নিয়ে বন্দী করে এখনও কি দেবে ধোঁকা।
আহা শেষ হয়েছে নারীদের সেই শাসন ঘানি টানা
এবার নিজেই খুঁজে দেখুন কোথায় পাগলাগারদখানা॥

বেশ তো তবে বুঝেশুনে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করো
বুঝবে তবে পুরুষ নারীর দুজনেরই কে যে বড়
মোটেই না মোটেই না
নারী পুরুষ সমান সমান আছে যে তার অনেক প্রমাণ
নারী পুরুষ সমান সমান অনিচ্ছাতেও মানতে পারি
লক্ষ ব্লেডে কামালেও উঠবে না তো গোঁফ আর দাড়ি
বুঝলে নারী?
ঐ লক্ষ ব্লেডে কামালেও উঠবে না তো গোঁফ আর দাড়ি॥

শিল্পী: মান্না দে ও আশা ভোঁসলে
সুরকার: নচিকেতা ঘোষ।
সময়: ১৯৭৪খ্রিষ্টাব্দ (মৌচাক)।