গানের গুণগান

সঙ্গীতের শ্রবণযোগ্য উপকরণ হলো-গীত ও বাদ্য। চলতি কথায় 'গান-বাজনা'। গান ও বাজনা এককভাবে বা উভয়ের সমন্বয়ে শ্রোতাকে মুগ্ধ করে। এই মুগ্ধতার মূল কথাটাই হলো সমন্বয়। প্রশ্নটা হলো- কিসের সমন্বয়, কার সাথে সমন্বয়?

উত্তর একটাই 'আনন্দের সমন্বয়'। সাধারণ স্বস্তিবোধের তীব্রতর দশায় মনোজগতে তীব্র সুখবোধের জন্মের হলে-  মোহিত দশার সৃষ্টি হয়। এই অনুভবকে সাধারণভাবে আমরা আনন্দ বলতে পারি। সাধারণভাবে সহনীয় ধ্বনি মানুষের মনে স্বস্তিবোধের জন্ম দেয়। শ্রোতার মনে সঙ্গীতের ধ্বনি সাধারণ স্বস্তিদায়ক ধ্বনি থেকে অধিকতর সুখানুভূতির জন্ম দেয়। এর ফলে শ্রোতার মনে যে মোহ তৈরি করে, সেখানে থেকেই গান-বাজনার আনন্দের শুরু।

গান-বাজনার ধ্বনির মূল উপাদান হলো সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি। সেখানেও রয়েছে বহুবিধ ধ্বনির সমন্বয়ের খেলা। কারণ, সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি হলো যৌগিক ধ্বনি। এই যৌগিক ধ্বনির সর্বনিম্ন কম্পাঙ্কের ধ্বনিটি হলো- ভিত্তি ধ্বনি, আর সকল উচ্চ কম্পাঙ্কের ধ্বনিগুলো হলো- উপধ্বনি। সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনির ভিত্তিধ্বনি এবং উপধ্বনিগুলো পৃথকভাবে মনে সুখবোধের রঙ ছড়ায় না বা মোহ তৈরি করে না। এই ধ্বনিগুলো সাধারণ স্বস্তিদায়ক দশায় রয়ে যায়। যখন ভিত্তি ধ্বনি এবং উপধ্বনিগুলো সমন্বিত দশায় শ্রুতিমধুর যৌগিক ধ্বনি হয়ে মানুষের শ্রবণেন্দ্রয়কে উজ্জীবিত করে, তখন তা হয়ে ওঠে সঙ্গীতোপযোগী। এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে শব্দের ধ্বনিরঞ্জকতা গুণ প্রকাশিত হয়। এই ধ্বনিরঞ্জকতার গুণেই বিশেষ বিশেষ ধ্বনি সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি হয়ে ওঠে। তাই সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি মাত্রেই আনন্দধ্বনি।

প্রশ্ন থেকে যায়, কেন সঙ্গীতোপযোগী আনন্দধ্বনিতে পরিণত হয়? এর পিছনে রয়েছে মানুষের মনের স্বাভিক স্বস্তি দশা থেকে উচ্চদশায় পৌঁছার সুখবোধ। শুধু সঙ্গীত নয়, সকল ক্ষেত্রে মানুষের মন ঐক্যের সন্ধান করে। যখন বহু ধ্বনির সমাবেশ ঘটে, তখন মানুষের মন এর ভিতরে ঐক্যের সন্ধান করে। আর এই ঐক্যের ভিতরে থাকে অন্যান্য সকল ধ্বনির স্বস্তিদায়ক দশা এবং একই সমন্বিত ধ্বনির স্বস্তিদায়ক দশা। এই সমন্বিত দশায় প্রাপ্ত ধ্বনি যদি সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক স্বস্তিদায়ক দশা থেকে উচ্চতর দশায় পরিণত করে, তখনই তা আনন্দধ্বনিতে পরিণত হয়।


গড়ে উঠে বহুর ভিতরে একের সমন্বয়ে। বহুমাত্রিক স্বস্তিদায়ক অনুভূতির সমন্বয়ে যখন একক স্বস্তি

মানুষের স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর যোগিক ধ্বনি। অধিকাংশ মানুষের কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক ও স্বস্তিদায়ক। রাগ-সুখ-দুঃখ-বেদনায় এই কণ্ঠস্বর কখনো কখনো অস্বাভাবিক হয়ে ওঠেফলে এ সব ধ্বনি শ্রোতার মনে দুঃখ, ভয়, আনন্দের সঞ্চার করে। সঙ্গীতশিল্পীরা তাঁর স্বাভাবিক স্বস্তিদায়ক কণ্ঠস্বরকে সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনিতে রূপান্তর করার জন্য গুরুর কাছে শিক্ষা নেন। এই শিক্ষার মূল কথা হলো- স্বরতন্ত্রী থেকে উৎপন্ন নানা কম্পাঙ্কের ধ্বনিকে সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনিতে রূপান্তর করার সাধনা।

সঙ্গীতে ব্যবহৃত ধ্বনি মাত্রেই বর্ণিল ও আনন্দময়। কণ্ঠে বা বাদ্যযন্ত্রে নানাভাবে অসংখ্য সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি তৈরি করা যায়। এর সবই আনন্দময়। তবে এ কথা মনে রাখেতই হয় যে, শুধু সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি সুর নয়। এগুলোর সাজানো গোছানোর ভিতর দিয়ে সুরের অবয়ব তৈরি হয়। আদিম লোকগানে সুরের সঞ্চার হয়েছিল এই সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনির সমন্বয়ে। এঁরা সুরের এই গোপন রহস্য জানতেন না।  তাঁরা সুর তৈরি করেছিলেন সহজাত প্রবৃত্তির বসে।

মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে কথা বলার রহস্যময় পরিচালন পদ্ধতি। কম্পিউটারের ভাষায় একে বলা যায়, কথা বলার বাক্যযন্ত্র ও তথ্যের প্রকাশের উপযোগী সমন্বয়কারী প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম মানুষ অর্জন করেছে বহু বহু বছরের ক্রমবিবর্তেনর ধারায়। মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে এমনই একটি সুর তৈরির প্রোগ্রাম। আদিম মানুষ তাদের সহাজাত প্রবৃ্ত্তি দিয়ে সুর সাজানোর কৌশল শিখেছিলেন। আদিম মানবগোষ্ঠীর মায়েরা শিশুর ঘুম পাড়ানোর জন্য কোমল হাতের স্পর্শের সাথে সাথে সুরের স্নিগ্ধ স্পর্শ বুলিয়ে দিতেন। এছাড়া আদিম শিল্পীরা সুরের মধুর স্নিগ্ধ এবং মোহনীয় সুরের সন্ধান পেয়েছিলেন- গান গাওয়ার পাখির সুরে, মৌমাছির গুঞ্জনে, ঝর্নার মধুর কলধ্বনিতে। মূলত আদিম শিল্পীরা সুরের সন্ধান পেয়েছিলেন প্রকৃতি থেকে। সেই সুরে তাঁদের আবেগ তাড়িত কথা বসিয়ে তৈরি করেছিলেম আদিম লোক সুর। এসবই সম্ভব হয়েছি- মানুষের মস্তিস্কে রক্ষিত সঙ্গীতসৃষ্টির প্রোগ্রামের জন্য।

মানুষ বহুকালের সাধনার দ্বারা ক্রমবিবর্তনের ধারায় ভাষা এবং সঙ্গীতের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার জন্য নানা ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। ভাষা-বিভেদের জন্য মানুষ ভিন্নভাষী লোকের সাথে বাক্যবিনিময়ে প্রায়ই অসহায় বোধ করেন। কিন্তু সঙ্গীতের ঘটে তেমনটা ঘটে না। কিন্তু সুরের ভাষা সবার জন্য। এই ভাষায় মানুষকে আনন্দে আপ্লুত করে।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ পেরিয়ে মানুষ যখন তার অধীত জ্ঞানকে শৃঙ্খলিত করা শুরু করলো, তখন থেকেই শাস্ত্রীয় পাঠের উদ্ভব হলো। তৈরি হলো- নানা তত্ত্ব কথা, নানা বিধি, বিষয়ভিত্তিক ব্যাকরণ। এই সূত্রেই সঙ্গীতে সূত্রপাত ঘটেছিল শাস্ত্রীয়-সঙ্গীতের। সঙ্গীতশাস্ত্রের আদি গুরুরা নানাবিধ সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনিকে পৃথকভাবে শনাক্ত করার জন্য নানা নামে অভিহিত করা শুরু করলেন। নাম ও সংখ্যায় হেরফের ছিল বিস্তর। অসংখ্য সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি থেকে পৃথকভাবে চিনবার জন্য নাম দেওয়া হয়েছে স্বর। সাধারণভাবে এর সংখ্যা ৭টি। এদের নাম- ষড়্‌জ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম ধৈবত ও নিষাদ। এদের কড়িকোমল মিলিয়ে মোট সংখ্যা শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১২টি।

সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি বলেই প্রতিটি স্বরের রয়েছে নিজস্ব ধ্বনিরঞ্জকতা, রয়েছে ধ্বনিসৌরভ। সব মিলিয়ে প্রতিটি স্বর, যেন এক একটি স্বনিত- আনন্দপুষ্প। কিন্তু ছড়ানো ছিটানো ফুল দিয়ে তো মালা হয় না। বা যথেচ্ছ রঙের ব্যবহারে ছবি হয় না। আদিম শিল্পীদের এ সব বিধি নিয়ে মাথা ছিল না। তাঁরা সহজাত প্রবৃত্তিতে এসব আনন্দপুষ্প দিয়ে তৈরি করেছিলেন মালা। এর ভিতর দিয়ে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল সুরের সৌন্দর্য। সুরের প্রতিটি স্বরকে যথাযোগ্য মূল্য দিতে হয়। অবহেলায় সুরের আনন্দপুষ্প নিরানন্দ হয়ে ওঠে। তাই একটি সুরের কোনো একটি স্বরও যদি ভুল করেও ধ্বনিরঞ্জকতা ও ধ্বনিসৌরভ হারায়, তবে তা হয়ে ওঠে নিরানন্দের এবং মুহুর্তেই সুর সুন্দরের সিংহাসন থেকে বিচ্যুত হয়।
 
কথা ও সুরের যে মালা গাঁথা হয়, তার নাম গীত। তাই যে
কোনো গীতের পরিচিতি ঘটে- ভাবাঙ্গ ও সুরাঙ্গের বিচারে। গীতের ভাব হতে পারে ভক্তি, প্রেম, বিরহ, বিদ্রোহ, প্রতিবাদ ইত্যাদি। এর সাথে যথাযথ স্বরবিন্যাসে বা সমন্বয়ে সৃষ্টি গান। এই দুটি অঙ্গের প্রতিটি অংশে রয়েছে ছোটো ছোটো নান্দনিক বিন্দু, অর্থাৎ আনন্দময় বিন্দু। একটি গানের প্রতিটি স্বর হলো সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি, যা শ্রুতিমধুর এবং আনন্দময়। আবার বাণীর প্রতিটি শব্দ ধারণ করে ভাবপ্রকাশক সঙ্কেত। শব্দের মালা গেঁথে তৈরি হয় ভাবপ্রকাশক বাণী। কোথায় পড়েছিলাম- বাণীর সাথের সুরের গলাগলি না হলে, তা গালাগালি হয়ে যায়। অর্থাৎ সৌন্দর্য সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে। 

গান শুধু সুর ও বাণীর মালা গাঁধা নয়। এর সাথে গভীরভাবে মিশে আছে বাণী ও সুরের দোলা। এই দোলা গুচ্ছবদ্ধ হয়ে তৈরি করে ছন্দ। মুক্ত ছন্দের গানে দোলা থাকে, ভাবাবেগকে শৃঙ্খলিত করে না। সমসময়ে সমপ্রকৃতির ছন্দের আবর্তনে সৃষ্টি হয় তাল। এই বিধি মানতে গিয়ে গান হয়ে যায় শৃঙ্খলিত। তালে নিবদ্ধ গানে ছন্দের আনন্দ আছে, মুক্তির প্রশান্তি নেই।

ভাবের জগতে নানা মনোবিকার ঘটে। এই মনোবিকার প্রকাশ ঘটে গানের সুরাভিনয় অভিনয়ে। রসশাস্ত্রে অভিনয়কে ভাগ করা হয়েছে- বাচিক, আঙ্গিক ও সাত্ত্বিক এই তিনটি অংশে। সঙ্গীতের অভিনয় বাচিক ও সাত্ত্বিক। বাক্-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে গানের বাণী যখন সুরের আশ্রয়ে প্রকাশ পায়, তখন ভাবের বিচারে বাচিক অভিনয়ের উদ্ভব হয়। এর ফলে মানুষের মনের নানা দশায় যে ভাবের উদ্ভব হয়, তাকে সুরাভিনয়ে উপস্থাপনই হলো সাত্ত্বিক। এর মধ্য দিয়ে সঙ্গীতে প্রতিষ্ঠা পায় ভিন্নমাত্রার সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্যের ভিতরে লুকিয়ে থাকে সঙ্গীতের রসবোধ। তাই এই সৌন্দর্য প্রতিষ্ঠায় থাকতে হয় শিল্পীর গভীর অনুভব। যা শ্রোতার মনকে স্পর্শ করে, আর শ্রোতা রসের আধারে ডুবে যায়।  নাট্যশাস্ত্রকার ভরতমুনি একে উল্লেখ করেছেন- ভরতমুনি 'শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র, বীর ভয়ানক, বীভৎস ও অদ্ভুত। তাঁর মতে এই রসগুলো আটটি স্থায়িভাব- রতি, হাস, শোক, ক্রোধ, উৎসাহ, জুগুপ্সা ও বিস্ময় থেকে উদ্ভব হয়। মোটা দাগে এই আটটি রস প্রধান। কিন্তু এগুলোর সমন্বয়ে অনেক সময় ভিন্নতর রসেরও উদ্ভব হয়। যেমন- অভিমান।

সঙ্গীত শিল্পীর সাধনা- সুরের অনাহত নাদকে আহত নাদে প্রকাশের সাধনা। একই সাথে বাণীর বিমূর্ত ভাবকে সুরাভিনয়ে প্রকাশ করা। প্রতিটি স্বরের রয়েছে নিজস্ব স্বরানুক্রমিক অবস্থান ও ধ্বনিরঞ্জকতা। এর উদ্ভব হয়ে মনের গভীরে। শিল্পী
মনের বীণায় সে স্বর ধ্বনিত হয়, একে শোনা যায় না। এই স্বর অনাহত নাদজাত অনাহত স্বর। এই স্বরের প্রকাশ ঘটে বাকযন্ত্রে মাধ্যমে আহত নাদ হয়ে। রবীন্দ্রনাথ যখন তাঁর গানে বলেন- 'আমার মনের মাঝে যে গান বাজে,
শুনতে কি পাও গো'। না সে গান শোনা যায় না। এ গান অনাহত নাদের, এ গান ভাবের অনুভবের। সুর, বাণী ও ছন্দে নিবদ্ধ এই গান প্রাণের গান হয়ে ওঠে তখনই, যখন তা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হয়ে ওঠে না। সেখানেই শিল্পীর আক্ষেপ, অতৃপ্ততা। সেখানে সে অসহায়। সেখান থেকে উত্তোরণের জন্যই শিল্পীর আজীবন সাধনা। মনের বাস্তব স্তরে যা ঘটে, তা শিল্প নয়। এটা মনোজগতের উপরিতল তথা বাস্তবজগৎমনোজগতের মধ্যতল তথা কল্প-বাস্তব জগৎ। সঙ্গীতের ভাবের জগত এই দ্বিতীয় স্তরের। শিল্পী যখন গেয়ে ওঠেন- 'তুমি একটু কেবল বসতে দিও কাছে'। শ্রোতা এ গান শুনে গায়ে টেনে নেয় না। শ্রোতা শোনে শিল্পীর কল্পজগতের অনাহত নাদের সৃষ্ট আহত সুর, অব্যক্ত মনের কথা আহত নাদের গাঁথা আহত বাণী, শিল্পীর ভাবের দোলা বাণী ও সুরের, গানের ছন্দে বা তালে। শিল্পীর কাছে নিতান্তই সাধারণ সঙ্গীতের সৌন্দর্য হয়েই ধরা দেয়। এই সৌন্দর্য অসাধারণ হয়ে ওঠে তখনই, যখন মনোজগতের গভীরতল বা রসোত্তীর্ণ জগতে প্রবেশ করে। এই গান শ্রোতাকে অভিভূত করে। শ্রোতা মোহগ্রস্থ দশায় সে গান শুনে, ভক্তিতে আপ্লুত হয়, কিম্বা গভীর বেদনায় অশ্রুমোচন করে, এমনি কত কি ঘটে।  এখানেই সঙ্গীত ও শিল্পের সার্থকতা। এখানে লুকিয়ে থাকে সঙ্গীতের গোপন সৌন্দর্য-রহস্য।

গানের সুরাভিনয়, ভাবাভিনয় যখন ছন্দে বা তালের সুসমন্বিত আনন্দধারায় মনকে স্নিগ্ধ করে, মোহিত করে- তখনই গান সুন্দর হয়ে ওঠে। আর রসোত্তীর্ণ সরোবরে যখন সে গান অবগাহন করে, তখনই আমরা গুণগান গেয়ে উঠি। বলি উঠি, আহ্ কী সুন্দর!