বাংলা ভাষার পাঠ্য-ভাষাংশ
যে কোনো ভাষার সকল ধরনের
নমুনাকে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় উপস্থাপনের প্রক্রিয়ার নাম হলো ভাষাংশ।
এর ভিতরে ভাষার লিখিত নমুনাকে বলা হয় পাঠ্য-ভাষাংশ। পক্ষান্তরে সকল ধরনের শ্রবণের
উপযোগী ভাষা-নমুনা হলো শ্রুতি-ভাষাংশ। আমাদের এই ভাষাংশটি সম্পূর্ণরূপেই
পাঠ্য-ভাষাংশ এবং বাংলা ভাষার জন্য।
একটি পাঠ্য-ভাষাংশের বিষয়ের মধ্যে থাকে ওই
ভাষার সকল ধরনের পাঠ্য নমুনা। এই বিচারে সকল ধরনের উপন্যাস, প্রবন্ধ, কাব্য,
পত্রপত্রিকা, লিখিত অভিভাষণ, দলিল-দস্তাবেজ, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। আমাদের সীমিত পরিসরে
এতসবের নিয়ন্ত্রণ করাটা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব। তাই আমাদের সীমিত সামর্থের বিচারে
এই ভাষাংশের জন্য শুধু চিরায়ত সাহিত্যকেই বেছে নিতে হয়েছে। তাও আবার যে সকল
সাহিত্যকর্ম কপিরাইটের আওতার বাইরে চলে গেছে। বৃহত্তর ভাষা গবেষণার ক্ষেত্রে এই
ভাষাংশ খুব সামান্যই অবদান রাখবে। তবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে–
যেখানে সবাই বই কিনতে পারেন না (বই কেনার সামর্থ নেই বা কিনতে গেলে বইয়ের দোকানে
পাওয়া যায় না শুনতে হয়, উভয়ার্থে), বিদেশ বই পান না বলে ক্রমে ক্রমে মাতৃভাষায় রচিত
সাহিত্যরস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বা বিদেশে বসে তাঁর সন্তানের হাতে মাতৃভাষায় রচিত কোন
গ্রন্থ তুলে দিতে পারেন না–
এই ভাষাংশ এঁদের ব্যাপক সাহায্য করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকে
আমরা চেষ্টা করছি প্রতি বছর অন্ততঃ ৫০টি বই প্রকাশ করা। শুধু বাংলা ভাষার অনুশীলন ও
সম্প্রচারে যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন এবং যাঁরা এই কার্যক্রমে
বর্ণবিন্যাসন ও মুদ্রণ-সংশোধনে সাহায্য করছেন,
তাঁদের কাছে রইল কৃতজ্ঞতা।