মহাভারত
আদিপর্ব


ভাষাংশ>মহাভারত >আদিপর্ব>


ত্রয়োবিংশত্যধিকশততম অধ্যায়
পুৎত্রার্থ ধর্ম্মাদির আহ্বান

    বৈশম্পায়ন কহিলেন, হে কুরুবংশাবতাস জনমেজয়! কুন্তী স্বামীর আদেশানুসারে মন্ত্রপাঠ করিয়া ধর্ম্মকে আহ্বান করিলেন। হে কুরুনন্দন! ধৃতরাষ্ট্রপত্নী গান্ধারী সেই সময়ে গর্ভবতী ছিলেন। যে দিবস কুন্তী ধর্ম্মকে আহ্বান করেন, ঐ দিন তাঁহার সংবৎসর পুর্ণ হয়। কুন্তী বিবিধোপচারে ধর্ম্মের উদ্দেশে পূজা সাঙ্গ করিয়া মহর্চি কর্ত্তৃক প্রদত্ত মহামন্ত্র জপ করিতে লাগিলেন। সুরশ্রেষ্ঠ ধর্ম্ম সূর্য্যোপম, জ্বলদনলসন্নিভ [প্রজ্জলিত অগ্নির ন্যায়] বিমানে আরোহণ করিয়া তাঁহার সমীপে সমুপস্থিত হইলেন এবং হাসিতে হাসিতে কুন্তীকে বলিলেন, 'সুন্দরী! কি নিমিত্ত আমাকে আহ্বান করিলে? বল, তোমাকে কি অভীষ্ট প্রদান করিব?" কুন্তী তাঁহার বাক্য শ্রবণ করিয়া হৃষ্টচিত্তে কহিলেন, 'মহাত্মান! আপনি অনুগ্রহ করিয়া আমাকে এক সন্তান প্রদান করুন।"

যুধিষ্ঠিরেরে জন্ম

    অনন্তর ধর্ম তৎক্ষণাৎ স্বীকার করিয়া তাঁহার গর্ভে সর্ব্বপ্রাণিহিতকর পরম-যশস্বী এক পুৎত্র উৎপাদন করিলেন। ঐ পুৎত্র ইন্দ্রদৈবত চন্দ্রসংযুক্ত অভিজিৎ নামক অষ্টম মুহুর্ত্তে মধ্যাহ্ন-সময়ে জন্মগ্রহণ করিল। সন্তান জন্মিবামাত্র দৈববাণী হইল, "এই যে পাণ্ডুর প্রথমজসত পুৎত্র, ইনি পরম ধার্ম্মিক, বিক্রমশালী, সত্যবাদী, যশ্বস্বী ও ব্রতচারী হইবেন এবং যুধিষ্ঠির নামে ত্রিভুবন-বিশ্রুত নরপতি হইয়া ঔরসবৎ প্রজাবর্গের প্রতিপালন করিবেন।"

ভীমের জন্ম

    রাজর্ষি পাণ্ডু সেই পরম ধার্ম্মিক পুৎত্র প্রাপ্ত হইয়া কিছুকাল পরে পুনর্ব্বার কুন্তীকে কহিলেন, 'প্রিয়ে! ক্ষত্রিয়কুলে বলবান্ ব্যাক্তি অধিকতর প্রশংসনীয়; অতএব তুমি আর একটি অমিতবলশালী পুৎত্র উৎপাদন কর।" কুন্তী স্বামীর আজ্ঞা-প্রতিপালনার্থ মহর্ষিদত্ত মন্ত্রপাঠপূর্ব্বক বায়ুকে আহ্বান করিলেন। মহাবলপরাক্রান্ত বায়ু তৎক্ষণাৎ মৃগারোহণপূর্ব্বক তাঁহার সমীপে উপনীত হইলেন এবং কহিলেন, "কুন্তী! কি নিমিত্ত আমাকে আহ্বান করিলে?তোমাকে কি অভীষ্ঠ প্রদান করিতে হইবে?" লজ্জানম্রমুখী কুন্তী ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন, "হে সুরোত্তম! আপনি অনুকুল হইয়া আমাকে এক মহাবলপরাক্রান্ত, মহাকায়, দর্পবিনাশকারী পুৎত্র প্রদান করুন।" বায়ু কুন্তীর প্রার্থনানুসারে তাঁহার গর্ভে উক্ত প্রকার পুৎত্র উৎপাদন করিলেন। এই পুৎত্রের নাম ভীম; ভীম জন্মিবামাত্র 'বলবীর্য্য সম্পন্নদিগের অগ্রগণ্য মহাবীর জন্মগ্রহণ করিলেন,' এই দৈববাণী হইল। এই দেববাণীর পর আর এক আশ্চর্য্য ব্যাপার ঘটিয়াছিল। সদ্যঃপ্রসূত ভীমসেন স্বীয় জননীর উৎসঙ্গে (ক্রোড়ে) নিদ্রিত ছিলেন, এমন সময় তাঁহার মাতা ব্যাঘ্রভয়ে এরূপ ভীত হইলেন যে, ক্রোড়স্থিত ভীমসেনকে বিস্মৃত হইয়া পলায়ন-চেষ্টায় সহসা গাত্রোত্থান করিলেন। জননী গাত্রোত্থান করিলে ভীম তাঁহার ক্রোড় হইতে পর্ব্বতের উপর নিপতিত হইলেন। ভীমের বজ্রসম শরীরাঘাতে শিলা শতধা চুর্ণ হইবা গেল। পাণ্ডু তদ্দর্শনে সাতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইলেন। হে ভরতসত্তম! ভীমের জন্মদিবসেই দুর্য্যোদন জন্মগ্রহণ করেন।

অর্জ্জুনের জন্ম

    মহাবীর বৃকোদেরর জন্ম হইলে পর পান্ডু পুর্নব্বার চিন্তা করিতে লাগিলেন যে, কি প্রকারে আমার এক সর্ব্বলোকশ্রেষ্ঠ পুত্র জন্মিবে? সমস্ত লোকই দৈব ও পুরুষকার অবলম্বন করিয়া চলে, তন্মেধ্যে দৈবকে কালক্রমেই লাভ করিতে পারা যায়। শুনিয়াছি, অমররাজ ইন্দ্র সর্ব্বদেবশ্রেষ্ঠ ও অপ্রমেয়-বলবীর্য্যসম্পন্ন, আমি কায়মনোবাক্যে তপোনুষ্ঠান করিয়া তাঁহাকে সন্তুষ্ট করি। পরিশেষে তাঁহার নিকট হইতে অমিতবলশালী পুত্র প্রার্থনা করিয়া লইব। ইন্দ্রের বরে অবশ্যই আমার মহাবলপরাক্রান্ত পুত্র জন্মিবে এবং সেই পুত্র সংগ্রামে সুরাসুর, নাগ, নর, গন্ধর্ব্ব প্রভৃতি সমস্ত প্রাণীকেই জয় করিতে পারিবে। রাজর্ষি পাণ্ডু মনে মনে এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া মহর্ষিগণের সহিত মন্ত্রণাপূর্ব্বক কুন্তীকে সাংবৎসরিক ব্রতানুষ্ঠানের আদেশ প্রদান করিলেন এবং আপনিও একাগ্রচিত্তে প্রাতঃকালাবধি সায়ংকাল পর্য্যন্ত একপদে দণ্ডায়মান থাকিয়া কঠোর তপস্যাচরণ ও দেবরাজের আরাধনা করিতে লাগিলেন। এইরূপে পাণ্ডু পুত্রকামনায় বহুকাল কঠোর তপস্যা অনুষ্ঠান করিলেন। দেবরাজ তদীয় তপঃপ্রভাবে প্রসন্ন হইয়া তাঁহার সমীপে আগমনপূর্ব্বক কহিলেন "হে রাজর্ষে ! আমি তোমার তপোনিষ্ঠা দর্শনে সাতিশয় সন্তুষ্ট হইয়াছি, তোমাকে তোমার মনোমত পুত্রবর প্রদান করিয়া যাইব। আমার অনুগ্রহে তোমার পুৎত্র জন্মিবে। ঐ পুৎত্র ত্রিলোকবিশ্রুত, গোব্রাক্ষণহিতকারী, সুহৃদগণের আনন্দবর্দ্ধন ও শত্রুদিগের হৃদয়বিদারক হইবে।" দেবরাজ ইহা বলিয়া অন্তর্হিত হইলেন; রাজর্ষি পাণ্ডুও অভীষ্ট সিদ্ধ হওয়ায় পরম পরিতুষ্ট হইয়া কুন্তীর নিকট গমনপূর্ব্বক কহিলেন, "কল্যাণি ! আমাদিগের মনোরথ পূর্ণ হইয়াছে, অমররাজ সুপ্রসন্ন হইয়া অভিলাষানুরূপ, অতিমানুষকর্ম্মা, যশস্বী, অরাতিনিসূদন, নীতশাস্ত্র-বিশারদ, মহাত্মা, সুর্য্যসমতেজস্বী, দুরাধর্ষ, ক্রিয়াবান্ অদ্ভুতদর্শন পুৎত্র প্রদানের অঙ্গীকার করিয়াছেন; এক্ষণে তুমি সেই ত্রিদশাধিপকে আহ্বান করিয়া তাহাঁ হইতে পুত্র উৎপাদন করিয়া লও।"
    কুন্তী পতির আজ্ঞানুসারে মহর্ষিদত্তমন্ত্র জপ করিয়া ইন্দ্রদেবের আবাহন করিলেন। কুন্তীর আবাহনে দেবরাজ তৎক্ষণাৎ আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং তাঁহার গর্ভে পাণ্ডুর প্রার্থনানুরূপ পুৎ্ত্র উৎপাদন করিলেন। ঐ পুৎত্রের নাম অর্জ্জুন। অর্জ্জুন জন্মিবামাত্র মহাগভীরনির্ঘোষে আকাশবাণী হইল, বনবাসিগণ শ্রবণ করিয়া বিষ্ময়াবিষ্ট হইলেন। নভোমণ্ডল শব্দায়মান হইল। কুন্তী একাগ্রচিত্তে ছিলেন; শুনিলেন, "হে পৃথে ! তোমার এই পুৎত্র কার্ত্তবীর্য্যোপম, শিবসম পরাক্রমশালী ও ইন্দ্রবৎ অজয্য (অজেয়) হইয়া চতুর্দ্দিকে যশোরাশি বিস্তার করিবেন। যেমন বিষ্ণু হইতে অদিতির প্রীতি বর্দ্ধিত হইয়াছিল, অর্জ্জুন হইতে তোমারও সেইরূপ প্রীতিলাভ হইবে। অর্জুন স্বীয় ভুজবলে কুরু, সোম, চেদি, কাশী, করুষ প্রভৃতি নানা জনপদ বশীভূত করিয়া কুরুকুলের শ্রীবৃদ্ধি করিবেন। ইঁহার বাহুবলে ভগবান্ হুতাশন খাণ্ডববনে সর্ব্বভূতের মেদো (বসা-চর্ব্বি) ভক্ষণ করিয়া পরম তৃপ্ত হইবেন। এই মহাবলপরাক্রান্ত, মহাবীর সমস্ত মহীপালগণকে জয় করিয়া ভ্রাতৃগণের সহিত যজ্ঞত্রয় সম্পন্ন করিবেন। হে পৃথে! তোমার এই পুৎত্র পরশুরামসম তেজস্বী, বিষ্ণুতুল্য পরাক্রান্ত, বলবানদিগের অগ্রগণ্য মহাযশস্বী হইবেন। ইনি সংগ্রামে দেবাদিদেব মহাদেবকে পরিতুষ্ট করিয়া তাঁহার নিকট হইতে পাশুপত নামে মহাস্ত্র প্রাপ্ত হইবেন। ইনি দেবরাজ ইন্দ্রের আজ্ঞানুসারে দেবগণের পরমশত্রু নিবাতকবচনামক দৈত্য সকলকে বিনাশ করিবেন। ইনি সমস্ত দিব্যাস্ত্র সংগ্রহ করিয়া বিনষ্ট রাজ্যের প্রতুদ্বার করিবেন।"
  হে ভরতবংশাবতংস! এই দৈববাণী শ্রবণে কুন্তী পরমাহ্লাদিত ও সাতিশয় আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন। শতশৃঙ্গনিবাসী তপস্বিগণের ও ইন্দ্রাদি অমরনিকরের আহ্লাদের আর পরিসীমা রহিল না। পুষ্পবৃষ্টিপতিত হওয়ায় দিঙ্মল আচ্ছন্ন ও বাসিত (আমোদিত) হইল। আকাশে দুন্দুভিধ্বনি হইতে লাগিল, সমস্ত দেবগণ একত্র হইয়া অর্জ্জুনকে স্তব করিতে লাগিলেন। সর্পসমুদয়, বিহঙ্গমকুল, গন্ধর্ব্বগণ, অপ্সরাসকল, প্রজাপতিগণ, সপ্তর্ষিমণ্ডল, ভরদ্বাজ, কশ্যপ, গৌতম, বিশ্বামিত্র, জমদগ্নি, বশিষ্ঠ এবং ভগবান্ অত্রি তথায় আগমন করিলেন। মরীচি, অঙ্গিরা, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রুতু, দক্ষ প্রজাপতি এবং দিব্যমাল্যান্বরধারী গন্ধর্ব্বগণ ও অপ্সরাগণ অর্জ্জুন সন্দর্শনে সানন্দে গান করিতে আরম্ভ করিলেন। অপ্সরাগণ সানন্দে নৃত্য করিতে লাগিল। মহর্ষিরা চতুর্দ্দিকে তপস্যা করিতে লাগিলেন। ভীমসেন, উগ্রসেন, ঊর্ণায়ুঃ, অনঘ, গোপতি, ধৃতরাষ্ট্র, সুর্য্যবর্চ্চাঃ, যুগপ, তৃণপ, কাষ্ণি, নন্দী, চিত্ররথ, শালিশিরাঃ, পর্জ্জন্য, কলি, নারদ, ঋত্বা, বৃহক, করাল, বহুগুণশালী ব্রক্ষ্মচারী, সুবর্ণ, বিশ্বাবসু, ভূমন্যু, সুচন্দ্র, শরু এবং গীতমাধুর্য্যসম্পন্ন সুবিখ্যাত হাহা ও হূহূ ইত্যাদি গন্ধর্ব্বগণ-সমভিব্যাহারে শ্রীমান্ তুম্বুরু আসিয়া অর্জ্জুনসমীপে মধুস্বরে গান করিতে লাগিলেন । নানালঙ্কারভূষিতা, বিশালনয়না, অনূচানা, অনবদ্য, গুণমুখ্‌য, গুণবরা, অদ্রিকা, সোমা, মিশ্রকেশী, অলম্বুষা, মরীচি, শুচিকা, বিদ্যুপর্ণা, তিলোত্তমা, অম্বিকা, লক্ষণা, ক্ষেমা, রম্ভা, মনোরমা, অসিতা, সুবাহু, সুপ্রিয়া, সুবপুঃ, পুণ্ডরীকা, সুগন্ধা, সুরসা, প্রমাথিনী, কাম্যা, শ্বারদ্বতী, মেনকা, সহজন্যা, কর্ণিকা, পুঞ্জিকস্থলা, ঋতুস্থলা, ঘৃতাচী, বিশ্বাচী, পূর্ব্বচিত্তি, উম্লোচা, প্রম্লোচা, উর্ব্বশী, প্রভৃতি অপ্সরাসকল পরমানন্দে নৃত্য ও গান করিতে লাগিলেন । ধাতা, অর্য্যমা, মিত্র, বরুণ, ভগ, ইন্দ্র, বিবস্বান্, পূষা, ত্বষ্টা, সবিতা, পর্জ্জন্য, ও বিষ্ণু এই দ্বাদশ আদিত্য, ইঁহারা আকাশে থাকিয়া অর্জ্জুনের মহিমা বর্দ্ধন করিতে লাগিলেন। মৃগব্যাধ, সর্প, নির্ঋতি, অজৈকপাদ, অহিব্রধ্ন, পিনাকী, দহন, ঈশ্বর, কপালী, স্থাণু ও ভগবান্ ভগ এই একাদশ রুদ্র তথায় অবস্থান করিয়াছিলেন। অশ্বিনীকুমার, অষ্টবসু, মহাবল মরুদ্গণ, বিশ্বদেবগণ ও সাধ্যগণ অর্জ্জুনের চতুর্দ্দিক্ বেষ্টন করিয়া রহিলেন। কর্কোকট, বাসুকি, কচ্ছপ এবং কুণ্ড ও তক্ষক ইত্যাদি মহাতপাঃ, মহাবলপরাক্রান্ত, মহাক্রোধশালী, মহোরগগণ, এবং তার্ক্ষ্য, অরিষ্টনেম, গরুড়, অসিতধ্বজ, অরুণ, আরুণি, প্রভৃতি বৈনতেয়গণ তথায় আগমন করিলেন । বিমান ও গিরিশৃঙ্গের অগ্রগত ঐ সমস্ত সমভ্যাগত দেবগণকে কেবল তপোবলসম্পন্ন সিদ্ধ-মহর্ষিগণই দেখিতে পাইলেন, অন্যান্য লোকেরা নেত্রগোচর করিতে পারিলেন না। মহর্ষিগণ সেই আশ্চর্য্য ব্যাপার অবলোকন করিয়া সাতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইলেন এবং তদবধি পাণ্ডবগণের প্রতি অধিকতর শ্রদ্ধা করিতে লাগিলেন।
    অর্জ্জুনের জন্ম হইলে রাজর্ষি পাণ্ডু অপর এক পুত্রের কামনায় কুন্তীর নিকট প্রার্থনা করিলেন। কুন্তী তাঁহার আশয় বুঝিতে পারিয়া কহিলেন, "মহাত্মন্! আর আমাকে পুরুষান্তরসংসর্গের অনুরোধ করিবেন না। শাস্ত্রকারেরা কহিয়া গিয়াছেন যে, স্ত্রীলোক আপৎকাল উপস্থিত হইলে তিনবার পর্য্যন্ত পরপুরুষ দ্বারা সন্তানোৎপাদন করিতে পারে, তিনবারের অধিক কোনক্রমেই পুরুষান্তরসংসর্গ করিতে পারে না। যে নারী চারিবার পরপুরুষের সহিত সংসর্গ করে, তাহাকে স্বৈরিণী কহে, পাঁচবার উক্ত প্রকার কার্য্যে লিপ্ত হইলে বেশ্যা-পদবাচ্য হইয়া থাকে ; অতএব হে বিদ্বন্ ! তুমি ধর্ম্মজ্ঞ হইয়াও কি নিমিত্ত উদ্ভ্রান্তচিত্তের ন্যায় আমাকে পুনর্ব্বার অপত্যোৎপাদনের অনুমতি করিতেছ ?"