*৯৫১. তাল: কাহার্বা
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
তুমি বাদ্শারও বাদ্শাহ্ কম্লিওয়ালা॥
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ’ল পুণ্য বেহেশ্তী নূরে উজালা॥
গুনাহ্গার উম্মত লাগি’ তব
আজো চয়ন্ নাহি, কাঁদিছ নিরালা॥
কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’
দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা॥
জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি
কাঁদিবে নফ্সি ব’লে সকল নবী
য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি
কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’-
পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা॥
করে আউলিয়া আম্বিয়া তোমারি ধ্যান
তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা॥
*৯৫২. বৈতালিক
সেই রবিয়ল আউয়ালেরই চাঁদ এসেছে ফিরে
ভেসে আকুল অশ্রুনীরে।
আজ মদিনার গোলাপ বাগে বাতাস বহে ধীরে
ভেসে আকুল অশ্রুনীরে॥
তপ্ত বুকে আজ সাহারার
উঠেছে রে ঘোর হাহাকার
মরুর দেশে এলো আঁধার শোকের বাদল ঘিরে॥
চবুতরায় বিলাপ করে কবুতরগুলি খোঁজে নবীজীরে।
কাঁদিছে মেষশাবক, কাঁদে বনের বুলবুলি গোরস্থান ঘিরে॥
মা ফাতেমা লুটিয়ে প’ড়ে
কাঁদে নবীর বুকের পরে
আজ দুনিয়া জাহান কাঁদে কর হানি শিরে॥
*৯৫৩. নাটিকা: ‘শ্রীমন্ত,’ তাল: চতুর্মাত্রিক ছন্দ
সোনার চাঁপা ভাসিয়ে দিয়ে গহীন সাগর-জলে
দূরে ব’সে কাঁদে কে রে কাঁদে আয় ফিরে আয় ব’লে॥
কার আঁচলের মানিক ওরে
অকূল স্রোতে পড়লি ঝরে রে
কোন্ মায়ের কোল্ খালি ক’রে এলি রে তুই চ’লে॥
*৯৫৪. রাগ: কেদারা, তাল: একতাল
স্বদেশ আমার! জানি না তোমার শুধিব মা কবে ঋণ।
দিনের পরে মা দিন চ’লে যায় এলো না সে শুভদিন॥
খাই দাই আর আরামে ঘুমাই
পাগলের যেন ব্যথা-বোধ নাই
ললাট-লিখন বলিয়া এড়াই ভীরুতা, শক্তি ক্ষীণ।
অভাগিনী তুমি, সন্তান তব সমান ভাগ্যহীন॥
কত শতাব্দী করেছি মা পাপ মানুষেরে করি ঘৃণ্য
জানি মা মুক্তি পাব না তাহার প্রায়শ্চিত্ত বিনা।
ক্ষুদ্র ম্লেচ্ছ কাঙাল ভাবিয়া
রেখেছি যাদেরে চরণে দাবিয়া
তাদের চরণ-ধূলি মাখি যদি আসিবে সে শুভদিন
নূতন আলোকে জাগিবে পুলকে জননী ব্যথা-মলিন॥
*৯৫৫. রাগ: পাহাড়ি, তাল: একতাল
স্বপনে দেখেছি ভারত-জননী
তুই যেন রাজরাজেশ্বরী।
নবীন ভারত! নবীন ভারত!
স্তব-গান ওঠে ভুবন ভরি’ ॥
শস্যে ফসলে ডেকেছে মা বান
মাঠে ও খামারে ধরে নাকো ধান
মুখভরা হাসি, হাসিভরা প্রাণ
নদী ভরা যেন পণ্যতরী॥
পড়ুয়ারা পড়ে বকুল-ছায়ে
সুস্থ সবল আদুল গায়ে
মেয়েরা ফিরিছে মুক্ত বায়ে
কল-গীতে দিক মুখর করি’।
ভুলিয়া ঈর্ষা ভোগ আসক্তি
ধরার ক্লান্ত অসুর-শক্তি
এসেছে শিখিতে প্রেম ও ভক্তি
নব-ভারতের চরণ ধরি’ ॥
*৯৫৬. নাটক: ‘বিদ্যাপতি’
হে নিঠুর! তোমাতে নাই আশার আলো।
তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো॥
তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো॥
*৯৫৭. নাটিকা: ‘জন্মাষ্টামী’, তাল: কাহার্বা
আও আও স্যজনী
ম্যঙ্গল গাও শঙ্খ বাজাও
স্যফ্যল মানো র্যাজনী॥
অ্যম্যর লোক্ সে কুসুম গিরাও
তীন লোক মে হ্যর্যুষ মানাও
হঁস্যতী আজ ধরণী॥
*৯৫৮. রাগ: ভৈরবী-পিলু, তাল: কাহার্বা
আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো বাধো বোল
ব’লো কানে কানে।
যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল
ব’লো কানে কানে॥
যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায়
শরমে মরম-পাতে দোলে আন্মনা্, হায়
যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল
ব’লো কানে কানে॥
যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে
না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে
যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল
লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল।
যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে
যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে
যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্-
ব’লো কানে কানে॥
*৯৫৯. তাল: ফের্তা
আমি যদি বাবা হতুম বাবা হ’ত খোকা
না হলে তার নাম্তা পড়া মারতাম মাথায় টৌকা॥
রোজ যদি হ’ত রবিবার!
কি মজাটাই হ’ত গো আমার!
কেবল ছুটি! থাকত নাক’ নামতা লেখাজোঁখা
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অঙ্কে ধর্ত পোকা॥
*৯৬০. রাগ: মল্লার, তাল: ত্রিতাল
এ ঘনঘোর রাতে
ঝুলন দোলায় দুলিবে মম সাথে॥
এসো নব জলধর শ্যামল সুন্দর
জড়ায়ে রাধার অঙ্গ বাঁশরি লয়ে হাতে॥
*৯৬১. তাল: দাদ্রা
ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি॥
এই দেশেরই মাটি জলে
এই দেশেরই ফুলে ফলে
তৃষ্ণা মিটাই মিটাই ক্ষুধা পিয়ে এরি দুধের বাটি॥
এই মায়েরই প্রসাদ পেতে
মন্দিরে এর এঁটো খেতে
তীর্থ ক’রে ধন্য হতে আসে কত জাতি।
ও ভাই এই দেশেরই ধূলায় পড়ি’
মানিক যায় রে গড়াগড়ি
ও ভাই বিশ্বে সবার ঘুম ভাঙালো এই দেশেরই জিয়ন-কাঠি॥
এই মাটি এই কাদা মেখে
এই দেশেরই আচার দেখে
সভ্য হ’লো নিখিল ভুবন দিব্য পরিপাটি।
ও ভাই সন্ন্যাসিনী সকল দেশে
জ্বাল্লো আলো ভালোবেসে
মা আঁধার রাতে এক্লা জাগে আগ্লে রে এই শ্মশান-ঘাঁটি॥
*৯৬২. তাল: দাদ্রা
ও মা বক্ষে ধরেন শিব যে চরণ শরণ নিলাম সেই চরণে
জীবন আমার ধন্য হলো ভয় নাই মা আর মরণে॥
যা ছিল মা মোর ত্রিলোকে
তোকে দিলাম,দিলাম তোকে
আমার ব’লে রইল শুধু তোর চরণের ধ্যান, এ মনে॥
তোর কেশ নাকি মা মুক্ত হলো ছুঁয়ে তোর ওই রাঙা চরণ
মুক্তকেশী, মুক্ত হবো ওই চরণে নিয়ে শরণ।
তোর চরণ-চিহ্ন বক্ষে এঁকে
বিশ্বজনে বলবো ডেকে-মা
‘দেখে যা কোন্ রত্ন রাজে আমার হৃদয়-সংহাসনে’ ॥
*৯৬৩. রাগ: খাম্বাজ মিশ্র, তাল: ত্রিতাল
কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া
কুহরিল মহুয়া-বনে
চমকি জাগিনু নিশীথ শয়নে॥,
শূন্য ভবনে মৃদুল সমীরে
প্রদীপের শিখা কাঁপে ধীরে ধীরে
চরণ-চিহ্ন রাখি দলিত কুসুমে
চলিয়া গেছ তুমি দূর-বিজনে॥
বাহিরে ঝরে ফুল আমি ঝুরি ঘরে
বেণু-বনে সমীরণ হাহাকার করে
ব’লে যাও কেন গেলে এমন ক’রে
কিছু নাহি ব’লে সহসা গোপনে॥
*৯৬৪. রাগ: খাম্বাজ, তাল: দাদ্রা
গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা কাবেরী যমুনা ঐ
বহিয়া চলেছে আগের মতন, কই রে আগের মানুষ কই॥
মৌনী স্তব্ধ সে হিমালয়
তেমনি অটল মহিমাময়
নাই তার সাথে সেই ধ্যানী ঋষি, আমরাও আর সে জাতি নই॥
আছে সে আকাশ ইন্দ্র নাই
কৈলাসে সে যোগীন্দ্র নাই
অন্নদা-সুত ভিক্ষা চাই কি কহিব এরে কপাল বই॥
সেই আগ্রা সে দিল্লী ভাই
প’ড়ে আছে, সেই বাদশা নাই
নাই কোহিনুর ময়ূর-তখ্ত নাই সে বাহিনী বিশ্বজয়ী।
আমরা জানি না, জানে না কেউ
কূলে ব’সে কত গণিব ঢেউ
দেখিয়াছি কত, দেখিব এও নিঠুর বিধির লীলা কতই॥
*৯৬৫. তাল: কাহার্বা
চরশ মেশা চণ্ডুর নেশা মুণ্ডু নেশা মুণ্ডু ঝিমঝিম
(কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম)
বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম॥
নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতাজা, হায় হায়
মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা
খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী
পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্ঝিম্॥
নলে যেম্নি দম্ দি অম্নি নল-দময়ন্তী
লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু
(ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে)
শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায়
(এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়)
চণ্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায়
প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে)
(দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম॥
আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি
সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি
জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!
*৯৬৬. মার্চের সুর, তাল: ত্রিমাত্রিক ছন্দ
চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্।
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্॥
উষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান
আমরা দানিব নূতন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।
চল্ রে নও জোয়ান
শোন্ রে পাতিয়া কান
মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে
জীবনের আহবান।
ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল
চল্ রে চল্ রে চল্
চল্ চল্ চল্
*৯৬৭. রাগ: মধুমাধবী সারং, তাল: ত্রিতাল
দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা।
মধু-মাধবী সুরে চৈত্র-পূর্ণিমা রাতে, বাজো বেণুকা॥
বাজো শীর্ণা-স্রোত নদী-তীরে
ঘুম যবে নামে বন ঘিরে’
যবে ঝরে এলোমেলো বায়ে ধীরে ফুল-রেণুকা॥
মধু-মালতী-বেলা-বনে ঘনাও নেশা
স্বপন আনো জাগরণে মদিরা মেশা।
মন যবে রহে না ঘরে
বিরহ-লোকে সে বিহরে
যবে নিরাশার বালুচরে ওড়ে বালুকা॥
*৯৬৮. রাগ: গারা, তাল: ত্রিতাল
নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া॥
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া॥
*৯৬৯. নাটিকা: ‘জন্মাষ্টমী’
পতিত উধারণ জয় নারায়ণ
কমলাপতে জয় ভ্যত্ত্ব-ভ্যয়-হ্যর্যলণ
জয় জ্যগদীশ হ্যরে॥
*৯৭০. রাগ: পিলু তাল: কাহার্বা
প্রিয় তুমি কোথায় আজি কত সে দূর।
প্রাণ কাঁদে ব্যথায় বিরহ-বিধুর॥
স্বপন-কুমারী, স্বপনে এসে
মিশাইলে কোন্ ঘুমের দেশে
তড়িত-শিখা ক্ষণিক হেসে
লুকালে মেঘে আঁধারি’ হৃদি-পুর॥
আপনা নিয়ে ছিনু একেলা
কোন্ সে কূলে ভিড়ালে ভেলা
জীবন নিয়ে মরণ-খেলা
খেলিতে কেন আসিলে নিঠুর॥
ঊষার গাঙে গাহন করি’
দাঁড়ালে নভে রঙের পরী
প্রেমের অরুণ উদিল যবে
মিশালে নভে, হে লীলা-চতুর॥
*৯৭১. তাল: কাহার্বা
বছর ফিরল ফিরল না বউ ভাইয়ের বাড়ির থনে
হালার হুমুন্দিরা দ্যায় না ছাইর্যাথ হাইরে আসছি রণে
তাগর সনে মুই হাইরে আসছি রণে॥
বহিন ঘরে রাইখ্যা কি ভাই (কন্ দেহি কর্তা)
আপনি হালায় হইবো বোনাই, দুষ্খু আমার কারে হোনাই
হায়রে যামু কনে॥
মুই পাগল হইলাম ছাগল হইলাম বউ বউ কইরা ডাইক্যা
(বউ, মুই তোমার লাইগ্যা পাগল ঐয়া আবোল তাবোল পেচাল পাড়ছি,
মুই ছাগল ঐছি, এ্যাঁও... এ্যাঁও...)।
বউয়ের লাইগ্যা ভেউর হইছি গোপ দাড়ি চুল রাইখ্যা।
ঘরের মাচার লাউ ছিল সে (বোঝ্ঝেন্নি কর্তা)
উপরি পাওনা ফাউ ছিল সে, মায়ের চোখের ঘুম ছিল সে
তার সোয়ামিরে বিধবা কইর্যাি গেল ভাইয়ের সনে॥
সে ছিল মোর কোলের মেউর ছিল বাস্তু পেঁচা
(একদিন) রাগের মাথায় কইর্যালছিলাম তারে আদা ছ্যাঁচা। উঁহ্
দশ হালায় মোর দশটা খুইন্যা (ওরে বাবা)
ছুইট্যা আইল তাইনা হুইন্যা
মোরে দিল যেন তুলা ধুইন্যা ফেইলে কচু বনে।
(দেহের কর্তারা মোর পিঠের ঘা অ্যাহনও শুহোয়নি
এবার ম,লে বউয়ের ভাই হমু মুই ভাইব্যা রাখছি মনে॥
*৯৭২. রাগ: ইমন মিশ্র, তাল: কাহার্বা
বসিয়া বিজনে কেন একা মনে
পানিয়া ভরণে চলো লো গোরী।
চলো জলে চলো কাঁদে বনতল
ডাকে ছলছল জল-লহরি॥
দিবা চ’লে যায় বলাকা-পাখায়
বিহগের বুকে বিহগী লুকায়।
কেঁদে চখা-চখি মাগিছে বিদায়
বারোয়াঁর সুরে ঝুরে বাঁশরি॥
ওগো বে-দরদি ও রাঙা পায়ে
মালা হয়ে কে গো গেল জড়ায়ে।
তব সাথে কবি পড়িল দায়ে
পায়ে রাখি তারে না গলে পরি॥
*৯৭৩. নাটিকা: ‘জন্মাষ্টমী’, তাল: কাহার্বা
বৃজমে আজ স্যখি ধূম ম্যচাও
আওরী বৃজবালা ম্যঙ্গল গাও॥
গুঁথো স্যখিরি স্যব কুসুম-মালা
দেখ্যন কো চ্যলো নন্দকে লালা
বৃজকে ঘ্যর ঘ্যর হর্যকষ মানাও॥
*৯৭৪. রাগ: জয়জয়ন্তী, তাল: ত্রিতাল
মেঘ মেদুর বরষায় কোথা তুমি
ফুল ছড়ায়ে কাঁদে বনভূমি॥
ঝরে বারিধারা
ফিরে এসো পথহারা
কাঁদে নদী তট চুমি’ ॥
*৯৭৫. তাল: ফের্তা
বোন : সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল। তোরা কে কি হবি বল
কেলো, ভুলো, হেবো, পচা, ভুতো, ন্যাড়া, ডল্।
প্রথম ভাই : আমি হব কাব্লিওয়ালা এক কুলো চাপ দাড়ি।
‘তেরে মুসে আগা, মোর মা গায়া, লেয়াও রূপী তাড়াতাড়ি’।
দ্বিতীয় ভাই : আমি হব পণ্ডিত মশাই, কাঁপবে ছেলের দল
দেখে কাঁপবে ছেলের দল॥
তৃতীয় ভাই : আমি হব ফেরিওয়ালা চাই চানাচুর ঘুগ্নিদানা!
পাড়ায় পাড়ায় ফিরব ঘুরে পারবে না কেউ করতে মান!
রাত্রে হাঁক্ব ‘কুলফী বরফ’ হায় কি মজার কল॥
চতুর্থ ভাই : আমি হব জজ সাহেব, দিব ফাঁসি ছ’ মাস ক’রে
পঞ্চম ভাই : দারোগা আমি, তোর জজকে চালান দিব থানায় ধ’রে।
ষষ্ঠ ভাই : আমায় দেখে দারোগা গুড়ুম
আমি হব কনিষ্ঠ-বল॥
সপ্তম ভাই : আমি হব বাবার বাবা মা সে আমার ভয়ে
ঘোমটা দিয়ে লুকোবে কোণে চূনি-বিল্লি হয়ে!
বল্ব বাবায়, ওরে খোকা শিগ্গির পাঠশাল্ চল্॥
*৯৭৬. নাটিকা: ‘জন্মাষ্টমী’, তাল: ত্রিতাল
সো’জা সো’জা সো’জা জগ নরনারী
বাদল গ্যর্যজো বিজলি চ্যম্যকে
র্যলজ্যনী হো রহ্ আঁধিয়ারী॥
*৯৭৭. নাটিকা: ‘প্রীতি উপহার’, তাল: কাহার্বা
হার মানি ননদিনী
মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে
পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে॥
পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে
প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে
বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে
মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে॥
তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী
মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি।
মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর
সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর?
তব অভিনব বাণী হিল্লোলে
গুণ্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে॥
*৯৭৮. রাগ: কাফি-কানাড়া, তাল: আড়া চৌতাল
আঁখি পাতা ঘুমে জড়ায়ে আসে
ওগো চাঁদ জাগিয়া থেকো সুদূর আকাশে॥
জাগিয়া থেকো কবরীর মালা
পথ যেন পায় সে তোমার সুবাসে॥
*৯৭৯.
আশা-নিরাশায় দিন কেটে যায় হে প্রিয় কবে আসিবে?
প্রতি নিশ্বাসে নয়ন প্রদীপ মোর আসিছে নিভে॥
ফুল ঝরে যায় হায়, পুন ফুল ফোটে
কৃষ্ণা তিথির শেষে চাঁদ হেসে ওঠে
আমারি নিশীথের অসীম আঁধার ওগো চাঁদ কবে নাসিবে॥
শীত যায় মনোবনে ফাল্গুন আসে গো আসিল না আমারই ফাল্গুন
চাঁদের কিরণে পৃথিবী শীতল হায় মোর বুকে জ্বালে সে আগুন।
নিশীথে বকুল শাখে
পিয়া পিয়া পাপিয়া ডাকে
আমারই প্রিয়তম ‘জাগো পিয়া’ বলে কবে ডাকিবে॥
*৯৮০. রাগ: ভৈরবী, তাল: দাদ্রা
একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে ভিনদেশি পাখি
এ যে সুর নহে, মদির সুরা, রে সুরের সাকি॥
ব’সি মোর জানালা পাশে
কেন বুক-ভাঙা নিরাশে
যাও ঘুম ভাঙায়ে নিতি সকরুণ সুরে ডাকি॥
তোর ও সুরে কাঁদছে ঊষা অস্ত চাঁদের গলা ধ’রে
ভোর-গগনের কপোল বেয়ে শিশির-অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।
আমি রইতে নারি ঘরে
কেন প্রাণ কেমন করে
আমার মন লাগে না কাজে, আর জলে ভরে আঁখি॥
*৯৮১. তাল: কাহার্বা
ওরে বনের ময়ূর কোথায় পেলি এমন চিত্রপাখা
তোর পাখাতে হরির স্মৃতি পাখার শ্রী কি আঁকা॥
তারই মতন হেলে দুলে
নাচিস্ রে তুই পেখম খুলে
তনুতে তোর ওরে শ্যামের আঁখির নীলাঞ্জন মাখা॥
হারিয়ে নব কিশোরে, দিবা-নিশি ঘুরি
তাই কি শ্যামের বিভূতি তুই আনলি ক’রে চুরি।
সান্ত্বনা কি দিতে মোরে
শ্যামল রেখে গেছে তোরে
তাইতো তোরে হেরি ওরে যায় না কাঁদন্ রাখা॥
*৯৮২. সিনেমা: ‘চৌরঙ্গী’, তাল: কাহার্বা
চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী
চারদিলে রঙ ছড়িয়ে বেড়ায় রঙ্গিলা কুরঙ্গী॥
যে সকলের মন মাতায় কলকাতার চৌমাথায়
ওপারে যে ফিল্মের ঝিল্মিল্ আলোর দেয়ালি।
এপারে যে পথের ভিখারিনী চোখের বালি।
গোরা কালো সাহেব মেমে মন্দ ভালো বি.এ. এম.এ.
সবাই তাহার সঙ্গী।
যে দক্ষিণ হাত তুলি দক্ষিণা চায়
আলো দেয় রবি শশী, ফুল দেয় দখিনা বায়।
ওকি গোলাপ ফুল নারঙ্গি।
নুয়ে প’ড়ে আকাশ দেখে তাহার নাচের ভঙ্গী॥
*৯৮৩.
জাগো ভারত রানী ভারতজন্ তুম্ হে চাহে
গগনমে উঠত যো বাণী সো হি জগজন গাহে॥
রোবত ভারতকে ন্যরনারী
বোলাতা জ্যগ মাই হামারী
দুঃখ-দৈন্য ভারতকো ঘেরি তুম অব দেবত কাহে॥
নীল সিন্ধু তুম্হা লাগি
গ্যরজত ঘন অনুরাগী
কেঁউ নাহি উঠত জাগি যব্ ভারত প্রেম গাহে॥
*৯৮৪. রাগ: মনোরঞ্জনী, তাল: আদ্ধা কাওয়ালি
জানি পাব না তোমায় হে প্রিয় আমার
এ জীবনে আর॥
এ আমার ললাট লেখা
আমি রব চির একা
নিমেষের দিয়ে দেখা কাঁদাবে আবার॥
তবু হে জীবন স্বামী
তোমারি আশায় আমি
আসিব এ ধরণীতে যুগে যুগে অনিবার॥
*৯৮৫.
তুমি বিরাজ কোথা হে উৎসব দেবতা
মম গৃহ অঙ্গনে এসো সঙ্গী হয়ে আনো আনন্দ বারতা॥
পূজা সম্ভারে প্রসন্ন দৃষ্টি হানো
শুভ শঙ্খ বাজাও দশদিক জাগানো
হে মঙ্গলময়! আসি’ অভয় দানো আনো প্রভাত আকাশ সম নির্মলতা॥
লহ বিহগের গীতি অভিনন্দন
চাঁদের থালিকা হতে গোপীচন্দন
আনন্দ অমরার নন্দন হে প্রণত কর চরণে কহ কথা কহ কথা॥
*৯৮৬. রাগ: খাম্বাজ, তাল: যৎ
পেয়ে কেন নাহি পাই হৃদয়ে মম
হে চির-সুন্দর প্রিয়তম॥
তুমি আকাশের চাঁদ
আমি পাতিয়া সরসী-ফাঁদ
জনম জনম কাঁদি কুমুদীর সম॥
লিখিলের রূপে রূপে
দেখা দাও চুপে চুপে
এলে না মূরতি ধরি তুমি নিরুপম॥
*৯৮৭.
প্রিয়তম এসো ফিরে রহিবে কি দূরে দূরে
ভুলি মোরে চিরতরে ভাসাইয়া আঁখি-নীরে॥
আছি ব’সে পথ চেয়ে
আঁধার এলো যে ছেয়ে
মনের বনের ছায়ে এসো মিলন মধুর সুরে॥
নয়নের মণিহারা
নিভে গেছে শুকতারা
ভেসে আসে কালো মেঘ আমার গগন ঘিরে॥
*৯৮৮. চলচ্চিত্র. ‘দিকশূল’, তাল: কাহার্বা
ফুরাবে না এই মালা গাঁথা মোর ফুরাবে না এই ফুল
এই হাসি ঐ চাঁপার সুরভি ভুল নহে, ভুল নহে, নহে ভুল॥
জানি জানি মোর জীবনের সঞ্চয়,
রসঘন-মাধুরীতে হবে মধুময়
তবে কেন আমার বকুল-কুঞ্জে বাঁশরি হইল আকুল॥
কৃষ্ণা তিথিতে নাই যদি হাসে চাঁদ,
ফুরাবে না মোর পূর্ণ রসের সাধ
যমুনার ঢেউ থাকুক আমার (আমি) নাই দেখিলাম কূল॥
*৯৮৯.
বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি।
রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি’॥
ফুলের বুকে মধুর সম আসিলে তুমি আমার প্রাণে
মরুর বুকে উঠিল ফুটে রঙিন কুসুম বেদন ভুলি’॥
জাগিয়া হেরি পরান ভরি উঠিতেছে ঢেউ এ কি এ ব্যথার
বেদনা যত মধুও তত হিয়াতে শরম নয়নে আশার।
অকালে ফাগুন আগুন শিখায় রাঙিল মনের কানন-ভূমি॥
*৯৯০. রাগ: শাওন্ত কল্যাণ, তাল: ত্রিতাল
বিষাদিনী এসো শাওন সন্ধ্যায়
কাঁদিব দুজনে।
দীপালির উৎসবে আঁধারের ঠাঁই নাহি
কাহারো হাসি যদি নিভে যায়।
তোমারি মতো তাই ম্লান-মুখ চিরদিন
লুকায়ে রাখি অবগুণ্ঠনে॥
*৯৯১.
ব্যথার আগুনে হৃদয় আমার
জ্বলিছে দিবস রাতি গো।
কাঁদিতে আসিলে এ তনু শ্মশানে
কে তুমি ব্যথার ব্যথী গো॥
মুছিয়া গিয়াছে চন্দনের লেখা
খুলে শুকাইয়া গিয়াছে মন্দারের মালা
নিভেছে আশা দীপ আজি অবেলায়
কে তুমি রাতের সাথি গো॥
*৯৯২. রাগ: পাহাড়ি, তাল: দাদ্রা
ব্যথার উপরে বঁধু ব্যথা দিও না
দলিত এ হৃদি মম দ’লে যেয়ো না॥
ল’য়ে কত সাধ আশা
তোমার দুয়ারে আসা
(বঁধু) দিলে যদি ভালোবাসা ফিরে নিয়ো না॥
স্রোতের কুসুম প্রায় ভাসিতাম অসহায়
তুলে নিয়ে বুকে তারে ফেলে দিলে পুনরায়।
নিরদয় এ কি খেলা
প্রাণ নিয়ে হেলাফেলা
খেলার লাগিয়া ভালবাসিও না॥
*৯৯৩.
ভুলে যাও ব’লে জানাও মনে রাখার আবেদন
অনুরোধে ভুলব যদি মনে রাখা সে কেমন॥
মনে যে রাখতে জানে
সে কি মুখের মানা মানে
ভুলে দিয়ে যার মন ভরা তারে ভুলতে বলা অকারণ॥
চাঁদ চ’লে যায় আবার আসে ফিরে আসে ফাগুন হাওয়া
কোয়েল এসে যায় ক’য়ে তার মনে রাখার দাবি দাওয়া।
ভালোবাসায় ফুলের বাগে
ঝরে কুসুম আবার জাগে
বন্ধ দুয়ার মন দেউলের খোলো হাজার বাতায়ন॥
*৯৯৪.
রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ বরষা এলো
আমারি আশালতা সজল হলো॥
কুসুম কলি মুঞ্জরিল
বিরহী লতিকা সহসা ফুটিল
মন এলোমেলো মেদুর ছাইলো॥
*৯৯৫.
শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা ব’সে আছি বাতায়নে
রেবা নদীর খরস্রোত বহে বেগে আমার মনে॥
দিগন্তে করুণ কাতর
শুনি কার ক্রন্দন স্বর
ভেসে বন-মর্মর ঝরঝর সজল উতল পুবালি পবনে॥
বিরহী যক্ষ কাঁদে একাকী কোথায় কোন্ দূর চিত্রকূটে
আমার গানে যেন তার বেদনার সকরুণ ভাষা ফুটে।
আমার মনের অলকায়
কোন্ বিরহিণী পথ চায়
মালবিকার আঁখি-ধার ঝরে হায় অঝোর ধারায় মোর নয়নে॥
*৯৯৬. রাগ: মাঢ়, তাল: রূপক
সখি লো তায় আন ডেকে যে গান গেয়ে যায় পথ দিয়ে।
সই দিব তারে কণ্ঠহার, তার কণ্ঠেরি ঐ সুর নিয়ে॥
কারুর পানে নাহি চায়
সে আপন মনে গেয়ে যায়
প্রাণ কাঁপে সুরের নেশায় নয়ন আসে ঝিমিয়ে॥
সখি লো শুধিয়ে আয়
সে শিখিল এ গান কোথায়
এত মধু তার গলায় কার অধর-সুধা পিয়ে॥
যার গানে এত প্রাণ মাতায়
না জানি কি হয় দেখ্লে তায়
তার সুর শুনে কেউ প্রাণ পায় কেউ ফেলে প্রাণ হারিয়ে॥
*৯৯৭. চলচ্চিত্র: ‘চৌরঙ্গী’, তাল: দ্রুত-দাদ্রা
সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥
১ম : তোর ঘরে আজ কি রান্না হয়েছে?
২য় : ছেলে দুটো ভাত পায়নি, পথ চেয়ে রয়েছে।
৩য় : আমিও ভাত রাঁধিনী, দেখ্ না চুল বাঁধিনী
শাশুড়ি মান্ধাতার বুড়ি মন্দ কথা কয়েছে।
৪র্থ : আমার ননদ বড় দজ্জাল বজ্জাত গো।
সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
পাত ভরে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥
১ম : এত খায় তবু ওদের বউগুলো সুঁট্কো
২য় : ছেলেগুলো প্যাঁকাটি, বাবুগুলো মুট্কো।
৩য় : এরা কাগজের ফুল, এরা চোখে চাঁদ দেখে না।
৪র্থ : ইটের ভিতরে কীটের মত কাটায় এরা রাত গো।
সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
পাত ভরে ভাত পাই না ধ’রে আসে হাত গো॥
*৯৯৮.
সুদূর সিন্ধুর ছন্দ উতল
আমরা কলগীতি চঞ্চল॥
তুফান ঝঞ্ঝা কল্লোল ছলছল
ঊর্ধ্বে আমি ঝড় বহি শন্শন্
মম বক্ষে তব মঞ্জির তোলে গো রণন্
আনন্দ চিত্তে মেতে উঠি নৃত্যে
গুরু গুরু গুরু বাজে বাদল মাদল॥
তুমি গগন তলে উঠি মেঘের ছলে
জল-বিম্বমালা বালা পরাও গলে।
তুমি বাদল হাওয়ায় কর আদম যখন
মোরে কান্না পাওয়ায়।
ধূলি গৈরিক ঝড়ে সাগর নীলাম্বরী
জড়াইয়া অপরূপ করে ঝলমল॥
*৯৯৯. তাল: আদ্ধা
সুনয়না চোখে কথা ক’য়ে যায়
বনের রানী, দুটি ফুলে শুনি
নয়ন ফাঁকে প্রাণ লুকিয়ে চায়॥
দেহ দেউলে, দুটি দীপ দুলে
হেরি সারা অন্তর তায়॥
*১০০০. রাগ: তিলক কামোদ, তাল: ঝাঁপতাল
অগ্নি-ঋষি! অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে;
তাই ত তোমার বহ্নি-রাগেও বেদন-বেহাগ বাজে॥
দহন-বনের গহন-চারী-
হায় ঋষি-কোন্ বংশীধারী দেশি
নিঙ্ড়ে আগুন আনলে বারি, অগ্নি-মরুর মাঝে।
সর্বনাশা কোন্ বাঁশি সে বুঝতে পারি না যে॥
দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হানছিলে বৈশাখে,
হঠাৎ সে কার শুন্লে বেণু কদম্বের ঐ শাখে।
বজ্রে তোমার বাজ্ল বাঁশি
বহ্নি হল কান্না-হাসি,
সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী-মন সরে না কাজে।
তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্তশিখা রাজে॥