কলিকাতা
২ নভেন্বর, ১৯৩২
জনাব সম্পাদক সাহেব,
তসলিম! আপনাদের নেতা আসাদ-উদ্দৌলা শিরাজীর মারফত আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ পেলাম। যে সময় সারা বাংলাদেশ আমার বিরুদ্ধে, সেই সময় এই বিদ্রোহীকে আপনারা তরুণদের পথ প্রদর্শনের জন্য ডেকেছেন। ধন্য আপনাদের সাহস!
‘ধূমকেতু’র সারথি-রূপে নয় – যুদ্ধের ময়দান হতেই তারুণ্যের নিশান-বর্দার আমি। তাই ছুটে এসেছি দেশবাসীর পাশে। আজাদি অনাগত – তারই আগমনি গাওয়া ও তা হাসিল করাই বিপ্লবীর প্রাণের লক্ষ্য। আপনারা লক্ষ্য পথ ধরে যাত্রা করুন। কোনো বিঘ্নই সে পথে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না। দেশ গোলামির জিঞ্জির হতে মুক্ত হোক। মুক্ত-প্রাণে মুক্ত-বাতাসে যেদিন মুক্তির গান গাইতে পারব, সেই দিন হবে আমার অভিযানের শেষ। আপনারা জনকয়েক তরুণ আমার সহযাত্রী হচ্ছেন, এজন্য আমি একান্ত আশান্বিত। আজ যদিও চারিদিকে বিপ্লব বিভীষিকা – অনাদর অকৃতজ্ঞতা দেখা দিয়েছে – তবুও পিছ-পা হবার কিছু নেই। প্রতিভা, মনীষা, পাণ্ডিত্য, ত্যাগ ও সাধনার মূল্য একদিন সমাজ দেবেই। গায়ক আব্বাসউদ্দীনও আপনাদের আমন্ত্রণ কবুল করেছেন। ইনশাল্লাহ্। ৫ই নভেম্বর ভোরের ট্রেনে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌঁছব।
নজরুল ইসলাম