আমি কুন্তী, ভোজ কন্যা ছিনু ভোজপুরে।
রূপসী কুমারী আমি থাকি সমাদরে॥
মুনিবর দুর্বাসা
মুখে সদা দুর্ভাষা।
ভোজ গৃহে আসিলেন একদা দুপুরে॥
পিতা মোর তাঁর তরে,
সেবিতে আদেশ করে,
সেবিলাম শদ্ধাভরে, মহা মুনিবরে॥
মুনি মোরে মন্ত্র দিল,
দেবাহবান শিখাইল,
শিখিলাম সেই মন্ত্র অন্তরে অন্তরে॥
প্রভাতে প্রাসাদ পরে,
দেখিলাম ভাস্করে,
উদিছে সে ধীরে ধীরে, গগন কিনারে॥
কুমারী সুলভ মনে,
আহবিনু মনে মনে,
দিবাকর সেইক্ষণে, পশিল সে ঘরে॥
(বলে) আমি দেব দিবাকর
পুরাও বাসনা মোর,
মহাবীর পুত্র আসিবে তোমার উদরে॥
দিবাকর মোর সনে
বাসনা ও চুম্বনে,
গভীর আলিঙ্গনে, রহিল সে ঘরে॥
আসিলি উদরে মোর,
পূর্ণ দিনক্ষণ পর,
প্রসবিনু তোরে আমি ভোজরাজ পুরে॥
মাটির পাত্র পরে,
ভাসাইনু নদী নীরে।
পাত্র যায় ভেসে কাঁদিতে কাঁদিতে আমি ছুটি তীরে তীরে॥
দেখি সূত অধিরথ,
নদী বুকে স্নানরত,
পাত্র ধরে শিশু ক্রোড়ে, চলে হর্ষ ভরে॥
বিষণ্ণ মনেতে ফিরি,
নিশিদিন ভেবে মরি,
প্রথম পার্থ মোর, গেল সূত ঘরে॥