কাজী নজরুল ইসলামের লেটো গান
কাজী বজলে করীমের হাত ধরে, নজরুল যখন লেটো গানের জগতে আসেন তাঁর বয়স বার-তের বৎসর, এই সময় তাঁর গুরু বজলে করীম ছিলেন এই অঞ্চলের স্বনামধন্য এবং অপরাজেয় গোদাকবি। এখন পর্যন্ত তাঁর যে কয়েকটি লেটো লেটোপালা বা চাপান সং-এর সন্ধান পাওয়া গেছে, তার সূত্র তাঁর অসামান্য কবি-প্রতিভা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। তাঁর রচনায় পাওয়া যায়-সমকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপট ও আর্থ-সামাজিক দ্বন্দ্বের কথা,কাব্য রচনার অসাধারণ ক্ষমতা, অতুলনীয় রসবোধ এবং প্রতিপক্ষ গোদাকবিকে ঘায়েল করার জন্য তীব্র বিদ্রূপ এবং বাক্যাঘাত।

লেটোগানে নজরুলের আবির্ভাব কাজী বজলে করীমের হাত ধরে, নজরুল যখন লেটো গানের জগতে আসেন তাঁর বয়স বার-তের বৎসর, এই সময় তাঁর গুরু বজলে করীম ছিলেন এই অঞ্চলের স্বনামধন্য এবং  অপরাজেয় গোদাকবি। এখন পর্যন্ত তাঁর যে কয়েকটি লেটো লেটোপালা বা চাপান সং-এর সন্ধান পাওয়া গেছে, তার সূত্র তাঁর অসামান্য কবি-প্রতিভা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। তাঁর রচনায় পাওয়া যায়-সমকালীন সামাজিক প্রেক্ষাপট ও আর্থ-সামাজিক দ্বন্দ্বের কথা,কাব্য রচনার অসাধারণ ক্ষমতা, অতুলনীয় রসবোধ এবং প্রতিপক্ষ গোদাকবিকে ঘায়েল করার জন্য তীব্র বিদ্রূপ এবং বাক্যাঘাত। তিনি তাঁর দল নিয়ে নানা স্থানে চাপান-উতোর সং পালায় যোগদান করেছেন। তিনি  বিশেষভাবে জানত ইসলাম ধর্মের শরিয়তি, মারফতি ও সুফি দর্শন, বাউল দর্শন, হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি, বৈষ্ণব ও শাক্ত দর্শন। এছাড়া ছিল বিষয়ভিত্তিক অতুলনীয় বিশ্লেষণী ক্ষমতা। শুরুর দিকে নজরুল ছিলেন শুধুই শ্রোতা। শুনতে শুনতে তাঁর ভিতরে জেগে উঠছিল সৃজনশীল উদ্যম।প্রাথমিকভাবে হয়তো কিছু রচনা বজলে করীমকে মুগ্ধ করেছিল। তিনি দুখুমিয়ার ভিতরে দেখতে পেয়েছিলেন তাঁর লেটোদলের কাণ্ডারী। বজলে করিমের উৎসাহে তিনি লেটোপালা রচনায় হাত দিয়েছিলেন। সেসব সফলভাবে মঞ্চস্থও হয়েছিল। ধীরে ধীরে এসব আসরে তিনি নিজেই নামা শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিমশা লেটোদলের তিনি গোদাকবিতে পরিণত হয়েছিলেন। কোনো এক আসরে প্রতিপক্ষের গোদাকবি নজরুলকে বেঙাচি'বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। পরের আসরে গুরু কাজী বজলে করীম জবাবী গানে মন্তব্য করেছিলেন ও বেঙাচি নয় গোখরো । বজলে করীম অবসর নেওয়ার পর,নজরুল গোদাকবি হিসেবে দলের দায়িত্ব পান। এই সময় লেটোদলের শিল্পীরা তাঁকে ভ্রমর কবি' উপাধী প্রদান করেছিলেন। এই নামটি পাওয়া যায়,নজরুলের একাধিক গানে।

ক্ষুদে ওস্তাদ ’ উপাধি তিনি পেয়েছিলেন বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে, গ্রাম্য মেলার এক লেটো গানের আসরে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে- এ গ্রন্থের পরিশিষ্ট অংশের 'সুদ্খোর ব্রজেন মুখার্জী' (গান ২৬১-২৭৮) অংশের বিবরণ অংশে। লেটোগানের কালানুক্রম নজরুল-জীবনীকারদের অনুসরণে, নজরুলের লেটোগান রচনার প্রেক্ষাপট এবং সাম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় মাত্র, কিন্তু যথাযথ কালানুক্রমিক ধারা অনুসরণ করে গানগুলো সাজানো যায় না। কারণ এ বিষয়ে নজরুলের নিজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না। আবার এসকল রচনার সাথে দিন-তারিখের উল্লেখ নেই। লেটোগান সংগ্রাহক এবং নজরুল গবেষকদের আলোচনার সূত্রে প্রাপ্ত নজরুলের রচিত লেটো গানের ভণিতা অনুসরণ করলে, গানগুলোর একটি রচনকালের ধারা অনুসরণ করা যায়।

কাজী বজলুর করীমের শিষ্য হয়ে নজরুল যখন লেটো দলে যোগদান করেন, তখন গুরুর তত্ত্ববাধানে এবং অনুপ্রাণিত হয়ে নজরুল লেটো গান ও পালা রচনা করেছিলেন। এই সময় গ্রামের লোকের কাছে তিনি 'দুখু' নামেই পরিচিতি ছিলেন। তাই হয়তো তাঁর প্রথম দিককার গানগুলোর সাথে ভণিতা হিসেবে 'দুখু কাজী' এবং 'নজরুল এসলাম' নামটি ব্যবহার করেছিলেন। এরূপ দুটি চাপান সং (সিন্ধু বধ ও পায়রা-পায়রী)-এ নমুনা পাওয়া যায়। 'হারানো আংটি' চাপান সং-এ ভণিতায় 'নজরুল এসলাম' থাকলেও, এর উতোর অংশে 'দুখু কাজী‌' নামটি পাওয়া যায়। 'জেলে ও জেলেনী-তে ভণিতা পাওয়া 'দুখু মিয়া'।

ক্রমে ক্রমে নজরুল লেটোগানের ক্ষুদে ওস্তাদ হয়ে ওঠেন। বার্ধক্যের কারণে, কাজী বজলুর করীমের পক্ষে তাঁর লেটোদল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। ফলে নজরুল বয়সে ছোটো হওয়ার পরও বেঙাচি থেকে গোদাকবিতে পরিণত হয়েছিলেন। এই সময়ের রচিত পালা ও গানে তিনি ভণিতায় ব্যবহার করেছেন- 'দুখু কাজী'‌ 'নজরুল এসলাম' ও 'নজরুল ইসলাম'। এর ভিতরে 'নজরুল এসলাম' ভণিতায় সবচেয়ে বেশি লেটোগান পাওয়া যায়। এই ভণিতায় অন্যান্য চাপান সং, উতোর সং, হাস্যরসাত্মক সং, সাধারণ পালা ইত্যাদিতে 'নজরুল এসলাম' পাওয়া যায়। যে সকল চাপান সং-এ 'নজরুল এসলাম' পাওয়া যায়, সেগুলো হলো- অন্ধ রাজা, ভক্তমুচি, মেঘনাদ বধ, রাজপুত্র মন্ত্রীপুত্র, রাজা যুধিষ্ঠির,  রাজা হরিশচন্দ্র। এছাড়া এই ভণিতায় পাওয়া যায়- বেশকিছু পালা গানে। এগুলো হলো- চাষার সং, বাছুরীর খোঁজে, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, ঠক্ পুরের ঠক্, ব্রজেন সুদখোর, বুড়ো জমিদারের সং, নীলকুঠি, বনের পাখি, রাজা জয় চাঁদের ধর্ম পরীক্ষা, আকবর বাদশার পালা, ও যুবরাজ দারাশিকো পালা-তে। চাপান সং, উতোর সং , পালাগানের বাইরে কিছু স্বতন্ত্র গানে এই শিরোনামে কিছু গান পাওয়া যায়। কাজী নজরুল এসলাম নামটি পাওয়া যায় 'শর্মিষ্ঠা-দেবযানী' চাপান সং-এ। নজরুল ইসলাম' ভণিতা পাওয়া যায় 'বানর রাজকুমার' নামক চাপান সং অংশে পাওয়া যায়। এছাড়া 'এক যুবতীকে, দুই যুবক বৌ বলে দাবি করছে, সে যাবে কার কাছে?।' চাপান সং-এ নজরুল ইসলাম এবং ভ্রমর কবি উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে। কাজী বজলুর করীম যখন তাঁর দলটিকে পুরোপুরিভাবে নজরুলের হাতে ছেড়ে দেন, তখন তিনি লেটো-ওস্তাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। স্থানীয় দর্শক-শ্রোতা এবং অন্যান্য লেটোদলের কাছে গোদাকবি হিসেবে সম্মানজনক অবস্থায় ছিলেন। এই সময় লেটোদলের শিল্পীরা তাঁকে 'ভ্রমর কবি' উপাধী প্রদান করেন। এই নামটি পাওয়া যায়, নজরুলের একাধিক চাপান সং। এই তালিকায় রয়েছে- 'এক কন্যা-তিন বরবর', 'এক যুবতীকে, দুই যুবক বৌ বলে দাবি করছে, সে যাবে কার কাছে?',  কংসবধ, 'কলঙ্কভঞ্জন', 'কুশ ও লব', 'দাতা কর্ণ'। কুশ ও লব-এ নজরুল এসলাম ভণিতা রয়েছে।

এর বাইরে রয়েছে ভণিতা ছাড়া বহু গান। এর ভিতের চাপান, উতোর ইত্যদির সাথে অনেক গানেই ভণিতা পাওয়া যায় না, তবে এ সবের পালার শেষে গানে ভণিতা পাওয়া যায়। তাই ভণিতাবিহীন এ গানের রচয়িতা এবং ভণিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। বাকি গানগুলো সম্পর্কে সাধারণ ভাবে বলা যায়, ১৯১০-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে রচিত। কালানুক্রমের এই আনুমানিক ধারণার উপর ভিত্তি করে, লেটোগুলো সংকলিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারাটি রূপরেখা দাঁড়িয়েছে- দুখু কাজীর গান, নজরুল এসলামের গান, নজরুল ইসলামের গান, ভ্রমর কবির গান এবং ভণিতা বিহীন গান। নজরুল-সৃষ্ট লেটোগানের প্রকরণ
সামগ্রিকভাবে নজরুল-সৃষ্ট লেটো গানকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. চাপান সং। এই তালিকায় রয়েছে ১৮টি চাপান সং। এগুলো হলো- অন্ধরাজা, এককন্যা-তিন বর, এক যুবতীকে, দুই যুবক বৌ বলে দাবী করছে, সে যাবে কার কাছে?, কংসবধ, কলঙ্কভঞ্জন, কর্ণবধ,  কুশ ও লব, দাতা কর্ণ, দেবযানী-শর্মিষ্ঠা, পায়রা-পায়রী, বানর রাজকুমারের সং, ভক্ত মুচি,  মেঘনাদ বধ, রাজপুত্র-মন্ত্রীপুত্র, রাজা হরিশচন্দ্র, রাজা যুধিষ্ঠির, সিন্ধু বধ ও হারানো আংটি।

২. উতোর সং। এই তিনটি উতোর সং। এগুলো হলো- কর্ণবধ, যজ্ঞের ঘোড়া ও হারানো আংটি।

৩. পালা গান। আকবর বাদশা, কুলসুম, চাষার সং, জেলে ও জেলেনী, বাছুরীর খোঁজে, ঠকপুরের ঠগ,নীলকুঠি, বনের মেয়ে পাখি, বাবলুর মা, বিদ্যাভুতুম, বুড়ো জমিদার, বৌ-এর বিয়ে, সুদখোর ব্রজেন মুখার্জী, যুবরাজ শিকোহ, রাজা জয়চাঁদের ধর্ম পরীক্ষা, স্বামীস্ত্রীর ঝগড়া ও হারাধনের বিয়ে।
৪. চাপান বা উতোর সং ও পালার নাম পাওয়া যায় না এমন লেটো গান। এই জাতীয় গানকে দুটি ভাগে করা যায়। ভাগ দুটো হলো-

৪.১. ভণিতাযুক্ত গান: এই জাতীয় গানের ভিতর কিছু গানের সাথে ভণিতায় নজরুলের নিজের নাম বা প্রতীকী নাম পাওয়া যায়।  কোনো কোনো গবেষকের সূত্রে এমন কিছু গান পাওয়া যায়, যেগুলো নজরুলের ১১ থেকে ১৩ বৎসরের মধ্যে রচিত কিনা, এমন সন্দেহ থেকে যায়। যেমন- 'চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না' এই গানের শেষে 'রে ভ্রমর' থেকে লেটো গান হিসেবে ধারণা করাই যেতে পারে। এই গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল- সওগাত পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩৩৪' (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯২৭) সংখ্যায়। গজল সুরাঙ্গের এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯২৯ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৩৬)]। রেকর্ড নম্বর, পি ১১৬৬১। শিল্পী ছিলেন ইন্দুবালা। আমার ধারণা, গানটিতে 'রে ভ্রমর' থাকলেও গানটি নজরুল রচনা করেছিলেন, তাঁর গজল সুরাঙ্গের অন্যান্য গান রচনার উৎসাহে।

৪.২. ভণিতাহীন গান. এই জাতীয় গানগুলোর ভণিতায় কোনো নাম পাওয়া যায়। নজরুলে লেটো-গানের সন্ধানে যাঁরা বিস্তর গবেষণা করেছেন, তাঁদের সূত্রে এই গানগুলোকে নজরুলের গানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কোনো কোনো গবেষকের সংকলনে- 'আমার গলার হার খুলে নে ওলো ললিতে' নজরুলের লেটো গান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এই গানটি ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাস উদ্দীনের কণ্ঠে এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে নজরুলের লেটোগানের সাথে আব্বাসউদ্দীনের গানের বাণীর বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। হতে পারে প্রচলিত গানের সূত্রে নজরুল এই গানটি রচনা করেছিলেন। সংকলিত গানের প্রাসঙ্গিক তথ্য যুক্ত করা হয়েছে পরিশিষ্ট অংশ। সাধারণ পাঠক ও গবেষকদের বিশেষ সহায়ক হবে।

এরূপ একটি সংকলন নির্ভূলভাবে তৈরি করাটা দুরূ্হ। কারণ, যথেষ্ঠ সতর্কতার সাথে কাজ শেষ করার পরও অনেক ত্রুটি থেকেই যায়। তাই এই সংকলনের যেকোন ত্রুটি-বিচ্যুতি সহৃদয় পাঠক জানালে পরবর্তী সংস্করণে তা সংশোধন করার ব্যবস্থা করা হবে।

লেটোগানের কালানুক্রম
নজরুল-জীবনীকারদের অনুসরণে, নজরুলের লেটোগান রচনার প্রেক্ষাপট এবং সাম্ভাব্য সময় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় মাত্র, কিন্তু যথাযথ কালানুক্রমিক ধারা অনুসরণ করে গানগুলো সাজানো যায় না। কারণ এ বিষয়ে নজরুলের নিজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না। আবার এসকল রচনার সাথে দিন-তারিখের উল্লেখ নেই। লেটোগানের সংগ্রাহক এবং নজরুল গবেষকদের আলোচনার সূত্রে নজরুলের রচিত লেটো গানের ভণিতা অনুসরণ করলে, গানগুলোর একটি রচনকালের ধারা অনুসরণ করা যায়।

কালানুক্রমের এই আনুমানিক ধারণার উপর ভিত্তি করে, লেটোগুলো সংকলিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারাটি রূপরেখা দাঁড়িয়েছে- দুখু কাজীর গান, নজরুল এসলামের গান, কাজী নজরুল এসলামের গান, নজরুল ইসলামের গান, ভ্রমর কবির গান এবং ভণিতা বিহীন গান।

নজরুল ইসলামের রচিত লেটো গানের সূচি
 


তথ্য সূত্র:

১. কাজী নজরুল ইসলাম ও বাংলা সাহিত্য। আজিবুল হক। লেখা প্রকাশনী, কলকাতা। ২য় সংস্করণ। ১৯৯৯
২. দুখুমিয়ার লেটো গান। সংকলক ও সম্পাদনা মুহম্মদ আয়ুব হোসেন। বিশ্বকোষ পরিষদ। নজরুল ফাউণ্ডেশন, কলকাতা। প্রথম প্রকাশ: ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪১০/৬ ডিসেম্বর, ২০০৩।
৩. কাজী নজরুল। প্রাণতোষ ভট্টাচার্য। ন্যাশনাল বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড। কলকাতা-১২। ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ
৪. কাজী নজরুল ইসলাম। বসুধা চক্রবর্তী। ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইন্ডিয়া। নয় দিল্লী। জানুয়ারি ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দ।
৫. নজরুল-চরিত মানস। সুশীলকুমার গুপ্ত। ভারতী লাইব্রেরী, কলিকাতা। ভাদ্র ১৩৬৭
৬. নজরুল জীবনী। অরুণকুমার বসু। পশ্চিমবঙ্গ  বাংলা আকাদেমি। জানুয়ারি ২০০০।
৭. নজরুল-জীবনী। রফিকুল ইসলাম। নজরুল ইন্সটিটউট, ঢাকা। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ।
৮. নজরুল রচনা সম্ভার। আব্দুল কাদির সম্পাদিত। ইউনিভার্সল বুক ডিপো। কলিকাতা। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দ।
৯. নজরুল-সংগীত সংগ্রহ। সম্পাদনা রশিদুন্ নবী। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। ঢাকা। তৃতীয় সংস্করণ। পৌষ ১৪২৪/জানুয়ারি ২০১৮।
১০. বাংলা সাহিত্যে নজরুল। আজাহারউদ্দীন খান। ডিএম লাইব্রেরি। কলিকাতা। তৃতীয় সংস্করণ পৌষ ১৩৬৫
১১. বিদ্রোহী-রণক্লান্ত, নজরুল জীবনী। গোলাম মুরশিদ। প্রথমা, ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।
১২. লেটো ও লোক-ঐতিহ্য। ওয়াকিল আহমদ। নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। প্রথম প্রকাশ: বৈশাখ ১৪০৮/এপ্রিল ২০০১।
১৩. শত কথায় নজরুল। সম্পাদনায়: কল্যাণী কাজী। সাহিত্যম, কলকাতা। প্রথম প্রকাশ: ১৪০৫।