বিষয়: নজরুলসঙ্গীত।
শিরোনাম:
অন্ধকারে দেখাও আলো কৃষ্ণ নয়ন-তারা
অন্ধকারে দেখাও আলো কৃষ্ণ নয়ন-তারা।
কালো মেঘে অন্ধ-আকাশ পথিক পথ-হারা॥
ভক্ত কাঁদে অকূল ভবে,
গোকুলে তায় ডাকবে কবে।
অশান্ত এ চিত্তে হরি বহাও শান্তি-ধারা॥
- ভাবসন্ধান: এই গানে, জ্ঞানহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত জগতে- জ্ঞানের আলোতে
সুপথে চলার পথনির্দেশ পাওয়ার জন্য কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে। এখানে
পথের দিশারী কৃষ্ণকে পরম প্রিয়তম অর্থে 'নয়ন-তারা' শব্দটি দ্বারা বিশেষিত করা
হয়েছে। পাপকুটিলে আচ্ছন্ন অন্ধ চিত্তাকাশে পথিক যখন সুপথে চলার দিশা পায় না,
তখন কৃষ্ণই পারেন আলোকময় জগতের সন্ধান দিতে। এই গানের স্থায়ীতে কৃষ্ণের কাছে এই
প্রার্থনাই রাখা হয়েছে।
কূলহীন ভবসংসার কৃষ্ণের করুণা পাওয়ার আশায় আকুল হয়ে কাঁদে। কবে গোকুলে ডাকবেন
তিনি, এই ভাবনায় আকুল হয়ে- কৃষ্ণের কাছে কবির একান্ত প্রার্থনা, যেন দিশাহারা
অশান্ত চিত্তের অস্থিরতা হরণ করে, তিনি যেনো শান্তির ধারা প্রবাহিত করেন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ
১৩৪১) মাসে টুইনি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত
হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ৬ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। অষ্টম খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, মে ২০১৫। অগ্রন্থিত
গান ৭। পৃষ্ঠা: ৭৯
- রেকর্ড:
- টুইন। ডিসেম্বর ১৯৩৪ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪১)। কৃষ্ণ-সখা সুদামা। এফটি ৩৬৬৯।
যোগমায়ার গান।
- ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার ১০ মাঘ ১৩৪১) টুইন রেকর্ডে
কোম্পানির সাথে নজরুলে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে গানটি ছিল।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দু ধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত। প্রার্থনা
(কৃষ্ণ)।