বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম :
ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও সেই কাবার
ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও সেই কাবার।
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দিদার॥
দ্বীন দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজি হ’লে রাজি হন পরওয়ারদিগার॥
যে কাবার দুয়ারে জামে তৌহিদ দেন হজরত আলী,
যে কাবায় কুল্-মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার॥
যে কাবাতে গেলে দেখি আরশ কুর্সি লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকে না, হাসিয়া হয় বেড়া পার॥
- ভাবসন্ধান: এই গানের মূল বিষয় পবিত্র কাবাগৃহের মহিমা প্রকাশ। এ
গানের কাবা শুধুই একটিই গৃহ নয়, একই সাথে কাবা ইসলামিক আদর্শের মূর্তমান প্রতীক।
মুসলমানদের বিশ্বাস কাবা আল্লাহর ঘর এবং সেখানে গেলে আল্লাহর দিদার (দর্শন)
পাওয়া যায়। এই দিদার আল্লাহ প্রত্যক্ষ দর্শন নয়, ধ্যানের গভীরে পাওয়া আল্লাহর
অনুভব। তাই আল্লাহর দিদার পাওয়ার জন্য, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর
কাছে ইসলামের আদর্শিক রাহ (পথ) দেখানোর জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে এই গানে।
এই গানের কাবা-ভক্ত কবি, মনে করেন দ্বীন দুনিয়া (ধর্ম এবা কর্মময় দুনিয়া)
একাকার হয়ে যায় কাবা-দর্শনের ফজিলতে (সৌভাগ্যময় অনুগ্রহে)। এই কাবাতে এসে হাজি
হলে, আল্লাহর সন্তুষ্ট পাওয়া যায়। এই কাবাগৃহের ভিতরে হজরত আলী
(রাঃ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যিনি পারিবারিক
ঐতিহ্য অনুসারে- ইসলামপূর্ব যুগেই একেশ্বরবাদী বিশ্বাসে দীক্ষিত ছিলেন। তিনি
কাবার দুয়ারকে একেশ্বারবাদী ভূমির মহিমা দান করেছিলেন। এই কাবায় পরম ক্ষমা
প্রত্যাশা করেন নবিও। এই কাবাতে আল্লাহর আরশ (আল্লাহর স্থান), লওহে কালাম
(লাহও মাহফুজ, যেখানে কুরাআন সংরক্ষিত আছে)। কাবা দর্শনের সৌভাগ্যে মৃত্যর ভয়
থাকে না। কাব দর্শনের কল্যাণে হেসে হেসে জান্নাতে যাবার প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম
করা যায়।
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক
১৩৪৭) মাসে, টুইন থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে।
এই
সময়
নজরুলের বয়স ছিল
৪১ বৎসর
৪ মাস।
-
রেকর্ড:
টুইন [অক্টোবর ১৯৪০ (আশ্বিন-কার্তিক
১৩৪৭)]। এফটি ১৩৪৫৭। শিল্পী:
পিয়ারু কাওয়াল
-
গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২)-এর ১১৪৭ সংখ্যক গান। তাল: দাদরা পৃষ্ঠা:
৩৪৯।
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলামি গান। স্থান বন্দনা। কাবা
- সুরাঙ্গ: কাওয়ালি
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: সণ্