বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
এসো মা দশভুজা দশহাতে কল্যাণ আন দশভুজা
এসো মা দশভুজা
দশহাতে কল্যাণ আন দশভুজা
মৃত্যুঞ্জয় ঘরণী! মৃতজনে অমৃত দান।
নিরাশ প্রাণে দেও আশা
মৃক্জনে দাও ভাষা
আঁধার মহিষাসুর বুকে আলোর ত্রিশূল হান॥
দেও জয় বরাভয়, শক্তি, তেজ, প্রেম, প্রীতি
দনুজদলনী! শাপ মুক্ত কর ক্ষিতি,
এলে যদি আর বার মাগো
ভক্তের হৃদি মাঝে জাগো
দুঃখ শোক আর দিও না গো
তারিণী সন্তানে ত্রাণ॥
- ভাবসন্ধান: দশভুজা দুর্গা তাঁর দশহাতে কল্যাণ জগতের কল্যাণ বয়ে আনুক
এই প্রত্যাশা নিয়ে দেবীকে আহ্বান করা হয়েছে এই আগমনী গানে। এই আহ্বানের মধ্যে-
প্রার্থনা করা হয়েছে যেন তিনি মৃতজনকে প্রাণ
দান করুন। যেন তিনি নিরাশাকে আশা দেন, ভাষাহীনকে ভাষা দান করেন। মহুষাসুর রূপী
জ্ঞানান্ধ মানুষের বুকে জ্ঞানের ত্রিশূলের আঘাত করে জ্ঞানহীন দশার বিনাশ করুন।
এই আগমনী গানে দেবীর কাছে চাওয়া হয়েছে- ভয়কে জয়কে করার বরাভয় (অভয় হওয়ার বর),
শক্তি, তেজ, প্রেম, প্রীতি, দান। তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে-
বিশ্বসংসারকে শাপ থেকে মুক্ত করার জন্য।
বৎসর শেষে মাতৃরূপী দেবী আসেন। প্রতিবারের মতো দেবী আবার এসেছেন ধরাধামে।
ভক্তদের আবেদন- যেন তিনি তাঁর সন্তানদের আর দুঃখ শোক না দেন, যেন সবাইকে
মাতৃস্নেহে সকলের সকল দুঃখ থেকে
রক্ষা করেন।
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪২) মাসে এইচএমভি গানটির রেকর্ড করেছিল।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল
৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১১৬৮]
- রেকর্ড: টুইন [অক্টোবর ১৯৩৫ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪২)]।
এফটি ৪১০১। শিল্পী:
রেণু ও দেবেন বিশ্বাস।
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি
চুয়াল্লিশততম খণ্ড। স্বরলিপি নজরুল ইন্সটিটিউট কর্তৃক
প্রকাশিত। আষাঢ় ১৪২৪/জুন ২০১৮] পৃষ্ঠা: ৩৯-৪১। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। দুর্গা। আগমনী
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: স