ভাবার্থ: বর্ষা শেষে শরৎকাল যে রূপবৈচিত্র্য নিয়ে আসে, এ গানে তার
আভাষ মেলে। এক অর্থে বলা যায়- শরতের আগমনী গান।
শারদ-রাতের আগমনের বার্তার মধ্য দিয়ে এই গানের সূচনা হয়েছে। সকলে স্মরণ করিয়ে
দেওয়ার জন্যই যেন গানের স্থায়ীতে বলা হয়েছে- সারদ রাতের বাতাসে শেফালি ফুলের
গন্ধ ছড়িয়ে, চাঁদের প্রদীপ জ্বালিয়ে 'এলো ঐ শারদ রাত'।
বর্ষার শেষে শরতের আগমন। বর্ষার মেঘ অবিরাম বর্ষণ শেষে শরতে এসে সে রিক্ত হয়ে
যায়। শরতের সাদা মেঘ যেন শ্বেত-হংস হয়ে আকাশে খেলা করে। সে খেলায় বাজে সারং
অঙ্গের সুরধারা। শরতের অকপট নির্মল মেঘ ভেসে যায় আকাশে। বিগত বর্ষার কদম্বরেণু
পায়ে মেখে- প্রকৃতি যেন বর্ষার আঙিনা ছেড়ে শারদসুন্দরী হয়ে আসেন, তারই আভাষ
প্রকৃতিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২]। গান সংখ্যা
১১৮৮।