বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: চির-আপনার তুমি হে হরি
চির-আপনার তুমি হে হরি।
তুমি ভুলো না ষদি আমি রই পাশরি'॥
আমি ভুলিয়া যদি কভু রহি ঘুমে
তুমি ঘুম ভাঙাও মোর আঁখি চুমে,
তুমি আমি এক তরীতে তরি
॥
আমার বাঁধন মোচন মাঝে
হরি হে তোমারও মুকুতি রাজে,
তুমি জীবনে আমার আছ প্রাণ ধরি'॥
- ভাবনুসন্ধান: হরিকে তাঁর চির-আপনার বলে দাবী রেখে, কবি গানটির
সূত্রপাত করেছেন। এই গানের হরি কবির সহায় এবং উদ্ধারকর্তা। একই সাথে ভাব
সাগরের ভেসে যাওয়া তরণীর সহযাত্রী।
সেই দাবীতে স্থায়ীর দ্বিতীয় পঙ্ক্তিতে কবি, হরিকে বলেছেন যে, তিনি (কবি)
ভুল করে যদি তাঁর (হরির) পাশ কাটিয়ে যান, তবু তিনি (হরি) যেন তাঁকে (কবিকে) ভুলে
না যান।
কবি হরিকে অনুরোধ করেন, তিনি যদি কখনো ভুলে করেও সংসার মোহে চৈতন্যেহীন দশায়
পৌঁছান, তিনি যেন কবির অচৈতন্য অন্তর দৃষ্টিতে স্নেহ-চুম্বনের পরশ দিয়ে
তাঁকে জাগিয়ে তোলেন। যেন হরি এবং তিনি একই ভাবের তরণীতে ভেসে যেতে পারেন। কবি
মনে কেরন- তাঁর মোহ-বন্ধন মোচনের ভিতরেই হরিও মুক্তি ঘটে। কারণ, তিনি
হরির অঙ্গলীন হয়ে বিরাজ করেন এবং তাঁর সকল সত্তা ধারণ করে আছেন একমাত্র হরি।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১২৮৭। পৃষ্ঠা: ৩৯০]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দু ধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত। হরি। প্রার্থনা