বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: করিও ক্ষমা হে খোদা আমি গুণাহগার
করিও ক্ষমা হে খোদা আমি গুণাহগার অসহায়।
কাজের মাঝে অবসর পাই না ডাকিতে তোমায়॥
যতবার তোমার পথে হে খোদা যেতে চেয়েছি
বাহির ভিতর হ'তে হাজারো বাধা পেয়েছি,
তোমার পথের দুশমন ঘরে-বাহিরে-দুনিয়ায়॥
দুঃখ-শোক-ব্যাধির তাড়নায় শুনিয়াও শুনিনি আজান,
বান্দার সে-অপরাধ করিও ক্ষমা হে রহমান।
আমি যে কাঙাল ভিখারি পুণ্যের পুঁজি নাহি
শূন্য হাতে আমারে ফিরায়ো না হে ইলাহি,
করো না নিরাশ যদিও শরণ যাচি অবেলায়॥
- ভাবসন্ধান: ইসলাম ধর্মমতে যথাসময়ে কিছু ধর্মাচার (নামাজ.রোজ, হজ
ইত্যাদি) করার বিধান রয়েছে।
কবি নানা কাজের ভিতরে সময়মতো সে সকল আচার পালন করতে পারেন নি বলে- নিজেকে
অসহায় গুনাহগার মনে করে খোদার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিন যতবার
খোদার পথে চলতে চেয়েছেন- ততবারই তাঁর বাইরের এবং অন্তরের হাজারো বাধা তাঁকে
সে পথে চলতে বাধা দিয়েছে। কবি মনে করেন খোদার পথে চলার যা কিছু অন্তরায় হয়ে
সামনে দাঁড়ায়- তার সবই খোদার দুশমন। এই দুশমন বিরাজ করে তাঁর মনের ঘরের ভিতরে ও
বাইরে।
কবি
দুঃখ-শোক-ব্যাধির তাড়নায় যেন শুনেও শুনতে পান না। এই অপরাধের জন্য তিনি
খোদার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি পূন্যকর্মের ধনে ধনী নন বলে, নিজেকে ভিখারী
নামে অভিহিত করেছেন। তাই খোদার কাছে তাঁর একান্ত আবেদন, তিনি যেন পূন্যহীনকে
শূন্য হাতে ফিরিয়ে না দেন। তিনি আশাহতকে নিরাশ না করেন-আল্লাহর কাছে এটাই
একান্ত প্রার্থনা।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়
১৩৪৭) মাসে, মেগাফোন গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের
বয়স ছিল ৪১ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট।
তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১৩৩১। পৃষ্ঠা
৪০৩-৪০৪]
- রেকর্ড:
মেগাফোন [জুন ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৭)। জেএনজি
৫৪৮২। শিল্পী: আব্দুল হামিদ।
- সুরকার: নজরুল ইসলাম]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধরধ্মসঙ্গীত। ইসলাম ধর্ম। হামদ।