বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: 'কালী কালী' মন্ত্র জপি ব'সে শোকের ঘোর শ্মশানে
'কালী কালী' মন্ত্র জপি ব'সে শোকের ঘোর শ্মশানে।
মা অভয়ার নাম গুণে শান্তি যদি পাই এ প্রাণে॥
এই শ্মশানে ঘুমিয়ে আছে
যে ছিল মোর বুকের কাছে,
সে হয়ত আবার উঠবে জেগে মা ভবানীর নাম-গানে॥
সকল সুখ শান্তি আমার নিল হ'রে যে-পাষাণী,
শূন্য বুকে বন্দী ক'রে রাখব আমি তারেই আনি'।
মোর, যাহা প্রিয় মাকে দিয়ে
জাগি আশার দীপ১ জ্বালিয়ে,
মা'র সেই চরণের নিলাম শরণ, যে-চরণে মা আঘাত হানে॥২
১. বুকে চিতা, ২. যে চরণে প্রলয় আনে
- ভাবসন্ধান: প্রিয়জন-হারা কোনো এক কালীভক্ত তাঁর দুঃখ নিয়ে, কালীর কাছে
আত্ম-নিবেদন করেছেন এই গানে। তিনি দেবীর করুণা পাওয়ার আশায় শোকাহতচিত্তে ঘোর
শ্মশানে 'কালী কালী' মন্ত্রে তাঁকে স্মরণ করছেন, ভয়হরা দেবীর নামের মহিমায়
শান্তি পাবেন বলে। যে তাঁর অতি প্রিয় ছিল, সে এখন শ্মশানে ঘুমিয়ে আছে, তাই
কালীর মন্ত্রের জন্য তিনি শ্মশানকেই বেছে নিয়েছেন।
ভক্তের প্রত্যাশা- যে পাষাণী (নিষ্ঠুর দেবী) সকল শান্তিহরণ করেছে, সেই দেবীকেই
তিনি শূন্য বুকে বন্দী করে রাখবেন। তিনি তাঁর প্রিয়জনকে মায়ের পায়ে বিসর্জন দিয়ে,
তাঁর করুণা পাওয়ার আশায় জেগে থাকেন। ভক্তের প্রতীজ্ঞা- মাতৃরূপিণী যে পায়ে তাঁকে
আঘাত হানেন, সেই চরণেই তিনি ভক্তিভরে আশ্রয় নেবেন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪৩) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ৫ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১৩৭৫। পৃষ্ঠা: ৪১৬]
- রেকর্ড: টুইন [নভেম্বর ১৯৩৬ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪৩)]। এফটি ৪৬৪৯। শিল্পী:
ইন্দু সেন
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ
[নজরুল
সঙ্গীত স্বরলিপি সাতচল্লিশতম খণ্ড। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। ফাল্গুন ১৪২৫/ফেব্রুয়ারি
২০১৯] পৃষ্ঠা: ৩৭-৩৮। [নমুনা]
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। কালী।
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: দম