বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম: পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে নির্ঝরিণী আয় নেমে আয়
পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে নির্ঝরিণী আয় নেমে আয়।
ডাকছে উদার নীল-পারাবার আয় তটিনী আয় নেমে আয়॥
বেলাভূমে আছড়ে প'ড়ে
কাঁদছে সাগর তোরই তরে,
তরঙ্গেরি নূপুর প'রে জল-নটিনী আয নেমে আয়॥
দুই ধারে তোর জল ছিটিয়ে, ফুল ফুটিয়ে আয় নেমে আয়,
শ্যামল-তৃণে চঞ্চল-অঞ্চল লুটিয়ে আয় নেমে আয়॥
ডাগর তোর চোখের চাওয়ায়
সাগর-জলে জোয়ার জাগায়,
সেই নয়নের স্বপন দিয়ে বন-হরিণী আয় নেমে আয়॥
- ভাবার্থ: উদার নীল সাগরের ডাকে, পাষাণ গিরির কঠিন বন্ধন
ভেঙে, পাহাড়ি ঝর্ণাকে নেমে আসার আহ্বানের মধ্য দিয়ে এই গানের সূচনা
হয়েছে। কবি তার কল্প-ভাবনায় মনে করেন, সাগর যেন তারই সঙ্গলাভের আশায়
রোরুদ্যমানা হয়ে বেলাভূমিতে আছড়ে পড়ছে। তাই কবি তাকে তরঙ্গের জল-নুপূর পরে
জলনটিনীর বেশে নেমে আশার আহবান করেছেন।
তার এই নেমে আসা পথের দুই ধারে জল ছিটিয়ে, কূলভূমিতে ফুল ফুটিয়ে,
শ্যামল-তৃণে চঞ্চল-অঞ্চল লুটিয়ে নেমে আসুক- এমনটাই কবি কামনা করেন। কবি মনে
করেন এই জলনটিনীর ডাগর চোখের চাওয়ায় সাগর-জলে স্বপ্নের জোয়ার জাগে। কবির
বাসনা সেই সপ্নীল নয়নের মায়া জাগিয়ে বন-হরিণী মতো এসে সাগরে সাথে মিলিত হোক
এই জলনটিনী রূপিণী তটিনী।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। বুলবুল পত্রিকার বৈশাখ-শ্রাবণ
১৩৪০ (এপ্রিল-আগষ্ট ১৩৩৩) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩
বৎসর ১১
মাস।
- গ্রন্থ:
-
গুলবাগিচা
- প্রথম সংস্করণ [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩।
পিলুমিশ্র-রূপক। পৃষ্ঠা: ৪৫]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গুল-বাগিচা। গান সংখ্যা ৪০। পিলু মিশ্র-রূপক। পৃষ্ঠা ২৪৮]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১৫৩৭। রাগ: পিলু মিশ্র/ মিশ্র কেদারা, তাল: একতাল (মধ্যলয়)। পৃষ্ঠা: ৪৬২]
- পত্রিকা:
- বুলবুল [বৈশাখ-শ্রাবণ ১৩৪০ (এপ্রিল-আগষ্ট ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ)]
- সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা [কার্তিক ১৩৪১ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৪)] পৃষ্ঠা:
৩৯৯-৪০০।[নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: অনিলভূষণ বাগচী। সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা [কার্তিক ১৩৪১ (অক্টোবর-নভেম্বর
১৯৩৪)। [নমুনা]
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
- রাগ: কেদার
- তাল: একতাল
- গ্রহস্বর: স