বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে কেতকী
ভাদরের ভরা নদীতে ভাসায়ে কেতকী পাতার তরণী কে আসে গো॥
বলাকার রং পালক কুড়ায়ে বাহি-ছায়া-পথ-সরণী কে আসে গো॥
দলি শাপলা শালুক শতদল
আসে রাঙায় কাহার পদতল,
নীল লাবনি ঝরায়ে ঢলঢল – ভরাইয়া সারা ধরণী কে আসে গো॥
মৃদু মধুর মধুর হাসিয়া
সমীরণ সম ভাসিয়া,
আসে কার ভালোবাসিয়া – বলো কার মনোহরণী কে আসে গো।
- ভাবর্থ: বর্ষার শেষে নতুন চমক জাগিয়ে আসে- প্রকৃতিতে আসে শরৎ। এ গানের
চমক জাগনো কে হলো শরৎসুন্দরী।
বিদায়ী বর্ষার সবকিছুকে তুচ্ছ করে সে আসে নবরূপে। ভাদরের ভরা নদীতে ভাসে তার কেতকী
পাতার তরণী, বলাকার সাদারঙের পালক কুড়ায়ে সে যেন আসে ছায়াপথ ধরে। তার আগমনে শাপলা,
শালুক, পদ্ম দলিত করে সে আসে প্রকৃতিতে ঢলঢল নীল লাবাণ্য ঝরায়ে নব বর্ণসজ্জায়।
প্রকৃতির বুকে বাতাসের মতো ভাসে তার মৃদু মধুর হাসি। মনে হয়, সে যেন কারে ভালোবেসে
মনোহারিণী অভিষারিণী হয়ে প্রকৃতিতে নেমে আসে শরৎসুন্দরী হয়ে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ ১৩৪৬) মাসে, কলম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড করেছিল। কিন্তু রেকর্ডটি শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নি। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৭ মাস।
- গ্রন্থ:
নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১৬৩৪। পৃষ্ঠা: ৪৮৯]
- রেকর্ড: কলম্বিয়া [জানুয়ারি ১৯৪০ (পৌষ-মাঘ ১৩৪৬)।
শিল্পী: বিমলভূষণ। রেকর্ডটি প্রকাশিত হয় নি।