বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:মহুয়া ফুলের মদির ঘন সুবাসে
মহুয়া ফুলের মদির ঘন সুবাসে,
নয়ন ঝিমিয়ে আসে॥
মাতাল পাপিয়া ‘পিয়া পিয়া’ ডাকে
দোলন-চাঁপার ঝুলন শাখে,
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মন উদাসে॥
নিদাঁলি ছাওয়া চৈতালী হাওয়া,
স্বপনের ঘোর লাগে আকাশে
মৌমাছির পাখা জড়িয়ে আসে॥
- ভাবার্থ: মহয়া ফুলের মাদকীয় নেশায়- বসন্তের প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে মাদকীয় আবেশ। বাংলার রাঢ় অঞ্চলের এটি একটি বসন্তের সাধারণ রূপ। স্বাভাবিক ভাবে চৈতালি হাওয়ায় দোলনচাঁপা দোলে, পাপিয়া ডাকে। কিন্তু কবি মনে করেন মহুয়ার সৌরভেই প্রকৃতি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। সেই মাদকীয় আবেশ থেকেই বসন্ত-প্রকৃতিতে কবি দেখেছেন মাতালের চোখে। এই দেখাটা এই গানের টুকরো বিবরণে তা ফুটে উঠেছে- চিত্রশিল্পর খণ্ডসৌন্দর্যের বিন্যাসে।
কবি তার মাতাল চোখে দেখেন- মহুয়া ফুলের সুবাসিত মাদকীয় নেশায় প্রকৃতির চোখ ঝিমিয়ে পড়েছে,আর মাতাল পাপিয়া সঙ্গলাভের আশায় দোলনচাঁপার ঝুলন-শাখায় অবিরাম ডেকে চলেছে ‘পিয়া পিয়া’। নেশার ছোঁয়ায় চৈতালি ঝিরি ঝির হাওয়া মনকে বিবাগী করে দেয়। আর তন্দ্রাচ্ছন্ন চৈতালি হাওয়ায় লাগে স্বপ্নের ঘোর। সে নেশার ঘোরে উড়ন্ত মৌমাছির পাখাও যেন জড়িয়ে আসে।
;
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না। 'গুলবাগিচা
গীতি-সংকলনের প্রথম সংস্করণে [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩] গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গুলবাগিচা
- প্রথম সংস্করণ [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩। পিলু মিশ্র-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ৫৯]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। ] গুল-বাগিচা। গান সংখ্যা ৫২। পিলু মিশ্র-কার্ফা। পৃষ্ঠা
২৫৬
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১৬৬৫]। পৃষ্ঠা: ৪৯৭।
- রেকর্ড:
-
এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৩৪
(পৌষ-মাঘ ১৩৪০ বঙ্গাব্দ)]। জি.টি.
৩৯। শিল্পী মিস্ সরস্বতী।
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ
[নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, বিয়াল্লিশতম খণ্ড, আষাঢ় ১৪২৫] গান সংখ্যা ১৭।
পৃষ্ঠা: ৭০-৭১ [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান।