বিষয়: নজরুলসঙ্গীত।
শিরোনাম: সোনার আলোর ঢেউ খেলে যায় মাঠের ঘাসে ঘাস
সোনার আলোর ঢেউ খেলে যায় মাঠের ঘাসে
ঘাসে।
বাউল হাওয়ায় কানাকানি মা বুঝি ঐ আসে॥
কাশের চামর নদরি চরে
প্রণাম হয়ে লুটিয়ে পড়ে
আনন্দেরি জোয়ার এলো ভোরের নীলাকাশে।
মোদের মা জননী আসে॥
বেণু বনের মর্মরে আজ বাজে ছুটির বাঁশি
বরষ পরে ঘরে ফিরে এলো পরবাসী।
দুঃখী ছেলেমেয়ের মুখে
হাসির আলো ফুটল সুখে
আগমনীর আনন্দে আজ কুসুম হয়ে হাসে॥
- ভাবসন্ধান: শরতের সোনালী আলোয় মাঠের ঘাসে ঘাসে। তারই মাঝে উদাসী বাউল
হাওয়ায় কানাকানি শুরু হয়েছে- ঐ বুঝি বৎসরান্তে মা দুর্গা কৈলাস ছেড়ে
তাঁর সন্তানদের দেখার জন্য আসছেন। গানটির স্থায়ীর দুটি পঙক্তিতে দেবী দুর্গার
আগমনের মতোই- আগমনী গানের আবহ তৈরি করেছেন। কবি এই গানে শরৎ-প্রকৃতির স্বাভাবিক
রূপের মধ্যে অনাগত দেবী দুর্গার আগমনের পূর্বাভাষ খুঁজে পেতে চেয়েছেন। নদীর চরে নুয়ে
পড়া কাশফুলকে তাঁর কাছে মনে হয়েছে- দেবী-প্রণাম। আনন্দময় ভোরের নীলাকাশে তিনি
দুর্গার আগমনী বার্তা পেয়েছেন। বেণু বনের মর্মর ধ্বনির মধ্যে শুনতে পেয়েছেন শারদীয়া
দুর্গা পূজার ছুটির বাঁশির সুর।
কবি অনুভব করেছেন- বছর শেষে পরবাসী মা দুর্গার আগমনের আনন্দ-বার্তা। সংসার যাতনায়
মায়ের দুখি সন্তানদের মুখে তা ছড়িয়ে পড়েছে হাসির আলোক-পুস্প হয়ে। স্বল্প পরিসরে মা
দুর্গার আগমনের আন্দোৎসবকেই উপস্থাপন করেছেন এই গানে।
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২১২৫। পৃষ্ঠা:
৬৪০]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দু ধর্ম। শাক্তসঙ্গীত। আগমনী।