কর্থ্যভাষা’
আমি কর্থ্য ভাষা কইতে নারি শুর্দ্ধ কথা ভিন্ন।
নেড়ায় আমি নিন্ন বলি (কারণ) ছেড়াঁয় বলি ছিন্ন॥
গেঁসাইকে কই গোস্বামী, তাই মশাইকে মোর্স্বামী।
বানকে বলি বন্যা, আর কানকে কন্যা কই আমি॥
চাষায় আমি চশ্শ বলি, আশায় বলি অশ্ব।
কোঁকে বলি কোষ্ঠ, আর নাসায় বলি নস্য॥
শশারে কই শিষ্য আমি, ভাষারে কই-ভীষ্ম।
পিসিরে কিই পিষ্টক আর মাসীরে মাহিষ্য॥
পুকুরকে কই প্রুষ্করিণী, কুকুরকে কই ক্রুক্কু॥
বদনকে কই বদনা, আর গাড়ুকে গুডুক্কু।
চাঁড়ালকে কই চণ্ডাল, তাই আড়ালকে অণ্ডাল।
শালারে কই শলাকা, আর ডালায় বলি ডাণ্ডাল॥
শ্বশুরকে কই শ্রুশ্রু, আর দাদাকে কই দদ্রু॥
বামারে কই বম্বু, আর কাদারে কই কদ্রু॥
আরো অনেক বাত্রা জানি, বুঝলে ভায়া মিন্টু।
ভেবেছ সব শিখে নেবে, কলছিনে আর কিন্তু॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটি রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকার 'ভাদ্র ১৩৪২ (আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৩৫) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ
- ঝড়
- প্রথম সংস্করণ [১৩৬৭ বঙ্গাব্দের ১ অগ্রহায়ণে (১৭ নভেম্বর ১৯৬০)। শিরোনাম: কর্থ্যভাষা।]
- নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। ঝড়। শিরোনাম: কর্থ্যভাষা। পৃষ্ঠা ১৪০-১৪৫]
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ২৩৫৬। কর্থ্যভাষা। পৃষ্ঠা ৭১৭]
- নজরুলের হারানো গানের খাতা [নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪০৪/জুন ১৯৯৭। গান সংখ্যা ৩০। হাসির গান। পৃষ্ঠা ৫৬]
পত্রিকা: মোহাম্মদী [ভাদ্র ১৩৪২ (আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৩৫)।] হাসির গান।