বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ঐ কুজ্বার কি রূপের বাহার দেখো
‘কুব্জা কীর্তন’
ঐ কুজ্বার কি রূপের বাহার দেখো
তারে চিৎ করলে নৌকা যেন উপুড় করলে হয় সাঁকো॥
চিৎ হয়ে সে শুতে গেলে কাৎ হয়ে পড়ে, কুপকাৎ হয়ে পড়ে
আবার উল্টে গিয়ে ডিগবাজি খায় চাইতে গেলে উপরে
আবার চলতে গেলে ঢেকির মতন (হ্যাকোচ প্যাকোচ)
করে সে আঁকো পাঁকো॥
বসলে কোলা ব্যাঙটি যেমন অষ্টাবক্রের পিসি
নেংটির আবার বখেয়া সেলাই মূলো দাঁতে মিশি
চুল নয়তো বাবুই রশি বাঁধতে গেলে রয় নাকো॥
সূর্পণখার নখ্তুতো বোন মাওই মা সে হিড়িম্বের
আবার ঢোলের মতন ঢোলা মাজা পা দুটি উচ্চিড়িঙ্গের
ও কন্যে হোঁদল কুৎকুতে লো দোহাই এবার কুঁজ ঢাকো।
বলি ও তাড়কার মাসশাশুড়ি তোমার উটের মতন কুঁজ ঢাকো॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা
যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ) মাসে টুইন রেকর্ড
কোম্পানি থেকে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত
সংগ্রহ,[নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংখ্যা ২৩৭০। পৃষ্ঠা:
৭২৩]
- রেকর্ড:
- টুইন [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি টুইন রেকর্ড কোম্পানির সাথে
নজরুলের চুক্তিপত্র ]
- টুইন [জুন ১৯৩২ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৩৯)। এফটি ২০২৮। শিল্পী: প্রফে.
জি দাস]