বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ওহে ভ্যাবাকান্ত! দাও হে গানে দাও ক্ষ্যান্ত।
ওহে ভ্যাবাকান্ত! দাও হে গানে দাও
ক্ষ্যান্ত।
এ যে সুরে ও অসুরে রণ, এ নহে গান তো॥
তব তান শুনে তানসেন লুঙি ফেলে ভেগে যায়,
পড়শিরা বেঁকে যায় রাগে বঁড়শির প্রায়,
ধরিয়া সুরের কাছা করিছ গামছা কাচা,
বেচারি গানের যেন করিছ বাপান্ত॥
তোমার পাড়ায় কেন লইলাম বাড়িভাড়া
সা-রে-গা-মা সাধা শুনে প্রাণ হল খাঁচা ছাড়া।
হয় মনে সন্দেহ ধরিয়া টানিছে কেহ
যেন জীব বিশেষের লাঙ্গুল-প্রান্ত॥
সুরের ভাসুর তুমি গানের আফগান,
সরস্বতীরে ধ’রে পরাইছ চাপকান,
দেখে বীণা ফেলে, দেয় নারদ পিঠদান
বাহনের গান শুনে শিব উদ্ভ্রান্ত॥
-
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা
যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ১৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ), এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানির সাথে কয়েকটি গান প্রকাশের জন্য নজরুলের একটি চুক্তি হয়। এই
চুক্তিপত্রে এই গানটির উল্লেখ ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ২৩৭৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা:
৭২৬।
- রেকর্ড:
- এইচএমভির
সাথে চুক্তিপত্র। [১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ (বুধবার,১ আশ্বিন ১৩৪২)
- এইচএমভি [এপ্রিল ১৯৪৬ (চৈত্র-১৩৪২-বৈশাখ ১৩৪৩)।
এন ৯৭১০। শিল্পী: বিমল গুপ্ত। টাইটেল ভ্যাবাকান্ত]