বিষয়: নজরুলসঙ্গীত
শিরোনাম: কীর্তন গায় ছুচুন্দর, হুতুম প্যাঁচা বাজায় খোল।
'ছুচোর কীর্তন’
কীর্তন গায় ছুচুন্দর, হুতুম প্যাঁচা বাজায় খোল।
ছাতার পাখি দোহার গায় গোলেমালে হরি বোল্॥
কিচির-মিচির কিচির-কিচ্ ইঁদুর বাজায় মন্দিরা,
তানপুরা ঐ বাজায় ব্যাং ওস্তাদের সম্বন্ধীরা।
শালিক বায়স ভক্তদল হরিবোলের লাগায় গোল॥
হুলো বেরাল মিয়াঁও ম্যাঁও করছে শুরু খেয়াল-গান,
ব্যা-এ্যা-এ্যা-এ্যা পুং অজ মারছে জলদ হলক-তান।
রাসভ গলা ভাঙ্ল তার ধ্রুপদ গেয়ে খেয়ে ঘোল॥
টপ্পা গানের ঝাড়ছে তান চিঁহিঁহিঁ হিঁহিঁহিঁ অশ্বরাজ,
ঠুংরি গানের ঝট্কা-তান মার্ছে ফড়িং ঝোপের মাঝ।
খাণ্ডার্ বাণী ধ্রুপদ গায়্ বলদ গিয়ে পিজরাপোল॥
লেড়ি কুকুর বাউল গায় পুচ্ছ তুলি’ উচ্চ মুখ,
ভাটিয়ালি-গান শেয়াল গায় ভীষণ শীতের ভুলতে দুখ।
গাব্-গুবাগুব্ ‘কুক’ পাখি বাজায়, ভুতুম বাজায় ঢোল॥
কিচির্-মিচির কিচির্ কিচ্ ইঁদুর বাজায় মন্দিরা,
তানপুরা ঐ বাজায় ব্যাং ওস্তাদের সম্বন্ধীরা।
ছাতার পাখি দোহার গায় গোলেমালে হরি বোল্॥১
১. শেষের পংক্তির পাঠান্তর আছে:
ধরা গলায় মহিষ গায় যেন বুড়ো খাঁ সাহেব,
কাবুলিওয়ালা বেহাগ গায় 'মোর মগরা' খেয়ে শেব্
ভেড়া বলে, 'কণ্ঠ মোর গেছে ধ'রে খেয়ে ওল॥
- রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত
'চন্দ্রবিন্দু' সঙ্গীত-সংকলনে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
-
চন্দ্রবিন্দু।
- প্রথম সংস্করণ [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১।
চন্দ্রবিন্দু। কমিক গান। শিরোনাম: ছুঁচোর কীর্তন। পৃষ্ঠা: ২০৯-২১০]