বিষয়: নজরুলসঙ্গীত
শিরোনাম:যীশুখ্রিস্টের নাই সে ইচ্ছা, কী করিব বলো আমরা!

কোরাস:
যীশুখ্রিস্টের নাই সে ইচ্ছা, কী করিব বলো আমরা!
চাওয়ার অধিক দিয়া ফেলিয়াছি ভারতে বিলিতি আমড়া।
চামড়া ওদের আমাদের মতো কিছুতেই নহে হইবার!
হোয়াইটওয়াশ যা করিয়াছি–তাই দেখিতেছি নহে রইবার!
আমাদের মতো যারা নয় তারা অমনই রবে, কী করে বল,
সাদাদের মতো কালা অসভ্য হইবে স্বাধীন? হরিব‍ল!
আঁঠি ত চামড়া বিলিতি আমড়া মন্টেগু দিল চুষিতে;
শাঁস নাই বলে কাঁদিল, দিলাম বিলিতি কুমড়ো তুষিতে।
তাহাতেও যারা খুশি নয়, এতো ভুসি খেয়ে ভরে নাকো পেট,
ঘুসি বরাদ্দ তাহাদের তরে, ঝুঁটি ধরে করো মাথা হেঁট॥
পুলিশের লাঠি আরও বড়ো হোক, আরও যেন তাতে থাকে গিঁঠ,
হস্তেরে ফেলো অস্ত্র-আইনে, ঘর হতে তোলা হোক ইঁট!
কাগজের শুধু হইয়াছে নোট, কাগজের হোক রুটিও,
মাথা কেটে দাও, কেটে দাও হাত থাকে নাকো যেন টুঁটিও॥
যতটুকু দড়ি ছাড়িয়াছ, তাহা গুটাইয়া লও পুনরায়,
একবার যদি বেড়া ভাঙে, তবে আরবার ধরা হবে দায়!
আরও প্রশস্ত করে দাও পিঠ ধুর্মুস-পেটা করিয়া,
টিকি ও দাড়ির চাষ করো, লহো নখর দন্ত হরিয়া॥
ও-দেশের জলে ম্যালেরিয়া-বিষ, উহারা বিলিতি-জল খাক।
গুলি খেতে দাও তাদেরে, ওদের চ্যাঁচায় যে এক দল কাক!
পা কেটে ওদের ঠেকো করে দাও, উহাদের সাথে ছুটিতে
হার মেনে যায় এরোপ্লেন, পায়ে গুলি পারে নাকো ফুটিতে॥
সিরিঞ্জ লইয়া আরও ফাঁপাইয়া দাও প্লীহা আর যকৃৎ!
ঢাক কিনে দাও হিঁদুরে, মুসল –মানে বলো, করো বকরিদ।
ভাতে নাই কিছু ভিটামিন, ওতে মদ হোক, ওরা খাক ফেন,
এ স্বাস্থ্যে ভাত বড়ো ক্ষতিকর, খুব জোর দুটো শাক দেন॥
অতিশয় বেশি কথা কয়ে কয়ে বাড়াতেছে প্যালপিটেশন,
গ্যাগ পরাইতে করো সশস্ত্র ডাক্তারে ইনভিটেশন।
মা ভগবতীর সার উহাদের ব্রেনে আরও দাও পুরিয়া,
যদি থাকে মেরুদণ্ড কারুর দাও তা ভাঙিয়া চুরিয়া॥
বোমা মেরে মেরে পায় নাকো খুঁজে আজও উদরে ‘ক’অক্ষর,
এ মেষ কেমনে সভ্য ষাঁড়ের সহিত হানিবে টক্কর?
পায়ে ও গলায় ছাড়া ইহাদের কোনো সে অঙ্গে বল নাই॥
ব্যারাম মাফিক ওষুধ দিলাম, দিলাম কিন্তু ফল নাই॥