আয় লো আয় লো লগন যায় লো
খেলিবি যদি হোরি।
হরষিত মনে হরিৎ কাননে
হরি উঠেছে ভরি।
আগুন রাঙা ফাগুন লাল
রঙিন অশোক গালে দেয় গাল
জোছনা আঁচল করিল বিভোল
লাগে যেন লাল জরি॥
ভাবসন্ধান: রাধা-কৃষ্ণের লীলাভিত্তিক হোরি উৎসবে, সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য
আমন্ত্রণ করা হয়েছে এই গানে। বৈষ্ণবরা সুনির্দিষ্ট লগনে হোরি উৎসব শুরু করেন।
কবি কল্প-বাস্তবের অনুভবে মনে করেছেন- বসন্তের হরিৎ বনকে- যেন স্বয়ং হরিই (বিষ্ণু)
আনন্দ-চিত্তে উৎসবকে পূর্ণ করে তুলেছেন। তাই যথা লগনে এই হোরি-উৎসবে এসে যেন
সবাই হোরি-লীলায় অংশগ্রহণ করে- এই আহ্বানই এই গানের স্থায়ীতে উপস্থাপন করা
হয়েছে।
রঙিন ফুলে ফুলে ছাওয়া
ফাল্গুন মাসের প্রকৃতি হয়ে ওঠে বর্ণাঢ্য। বসন্তের মাতাল হওয়ায় রঙিন অশোক-পুষ্প
পরস্পরে গানে সৌহাগের স্পর্শ বুলিয়ে যায়। বসন্তে বিছিয়ে দেওয়া জ্যোৎসার আঁচলে
লাগে অশোক ফুলের লাল জরির স্পর্শ। এ সবই হোরি-উৎসবকে আরও বর্ণাঢ্য করে তোলে।
এসকল বিষয় উল্লেখ করে, হোরি উৎসবে অংশ-গ্রহণের জন্য কবি যেন প্রলোভনের জাল
বিছিয়ে- সবাইকে আহ্বান করেছেন এই গানে।
রচনাকাল:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না।
গ্রন্থ:
নজরুল-সংগীত সংগ্রহ
[রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল
ইনস্টিটিউট।
তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮।
গান ২৯৯৮]
পর্যায়:
বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দু ধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত। হোরি-উৎসব।
আহ্বান