বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ফুটল গোলাপ ফুলের
কুঁড়ি দেখবি যদি আয়
ফুটল গোলাপ ফুলের কুঁড়ি দেখবি যদি আয়
ও তার পাপড়ি ঠোঁটের আলতা পরা সৌরভে মাতায়॥
ডাকছে কোকিল কুহু বলে
যমুনায় জল নাচছে তালে
বেল যাতি জুঁই
উঠল ফুলে ফাগুনে হাওয়ায়॥
- ভাবর্থ: জলসা ছবিতে ব্যবহৃত এই গানটিতে ফুটন্ত গোলাপ
কুঁড়িরে বন্দনা করা হয়েছে কোনো রূপসীর ঠোটের সাথে তুলনা করে। একই সাথে বসম্তের
অন্যান্য বিষয় উঠে এসেছে- এই ফুলের অংশভাগী হয়ে।
ফাল্গুনের বাসন্তী পরিবেশে- ফুটন্ত গোলাপের কুঁড়িকে কবি কোনো পাপড়িগুলোকে কবি
সুন্দরীর আলতা-পরা সুরভিত ও রক্তিম ঠোঁটের সাথে তুলনা করেছেন। আর সে রূপের মোহে
ডাকছে কোকিল কুহু স্বরে, যমুনার জল নেচে উঠছে রূপ-দর্শনের আনন্দে। আর সেই আন্দের
অংশভাগী হয়ে- বেলা, যাতি, জুঁই ফুল প্রস্ফুটিত হচ্ছে ফাগুনের দখিন হাওয়ায়।
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না।
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ, 'ক্রাউন টকি হাউস'- এই কোম্পানির 'জলসা' নামক সবাক
চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এই ছবির প্রচার পুস্তিকায় মুদ্রিত এই গানটি সম্ভবত নজরুলের
রচিত ছিল। এই বিচারে ধারণা করা হয়, গানটি রচিত হয়েছিল নজরুলের ৩১ বৎসর ১১ মাস বয়সে।
- গ্রন্থ:নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৩০৯৩ পৃষ্ঠা:
৯৪৯]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গৱ: প্রকৃতি (জাগতিক, পুষ্প)। চলচ্চিত্র 'জলসা'।