বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
কহিস লো সখি মাধবে
কেমনে কাদিয় বায়
কহিস লো সখি মাধবে
মথুরায়
কেমনে রাধার কাঁদিয়া বরষ যায়।
খর বৈশাখে কী দাহন থাকে বিরহিণী শুধু-জানে
ফটিক জলের গলা ধরে কাঁদি চাহিয়া গগন-পানে
'সিত-চন্দন পদ্মপাতায়-
দারুণ দাহন-জ্বালা না জুড়ায়
হরি-চন্দন বিনা সিত চন্দনে জ্বালা না জুড়ায় গো
শ্রীমুখ পদ্ম বিনা পদ্মুপাতায় জ্বালা না জুড়ায় গো
বরষায় অবিরল
ঝর ঝর ঝরে জল
জুড়াইল জগতের নারী
হইল বিজলি-জ্বালা
তৃষ্ণা মিটিল না তারই।
প্রবাসে না যায় পতি
সব নারী ভাগ্যবতী
বন্ধুরে বাহু-ডোরে
বাঁধে
ললাটে কাঁকন হানি
একা রাধা বিরহিণী
প্রদীপ নিভিয়ে ঘরে কাঁদে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৬) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি এই গানের প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ১ মাস।
- রেকর্ড:
এইচএমভি [জুন ১৯৩৯ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৬)। এন ১৭৩০৮। শিল্পী:
যূথিকা রায়। সুর: কমল দাশগুপ্ত]