বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ বরষা এলো
রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ বরষা এলো
আমারি আশালতা সজল হলো॥
কুসুম কলি মুঞ্জরিল
বিরহী লতিকা সহসা ফুটিল
মন এলোমেলো মেদুর ছাইলো॥
- ভাবার্থ: দুই পঙ্ক্তির এই গানের বাণীর ধরন খেয়ালের মতো। গানটিতে বর্ষার
আবহে, প্রেমিক মনে মঞ্জুরিত প্রেম সঙ্গলাভের আকাঙ্ক্ষায় জেগে ওঠে । তার
ব্যত্যয় ঘটলে মনে জাগে বিরহের ভাব। এই গানে বর্ষার সাথে মানব মনের এই গভীর সম্পর্ক
ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে গানটি হয়ে উঠেছে প্রেমের শৃঙ্গার রসের বিরহভাবের সাথে বরষার
গভীর মিলনের যুগলবন্দী।
বর্ষার রিমঝিম মৃদু ধ্বনিতে প্রেমিকার মন হয়ে ওঠে সঙ্গলিপ্সু। তার মনে জেগে ওঠা
সঙ্গলাভের আশালতা। সঙ্গলাভ হয় না, তাই ব্যর্থ সঙ্গহীনার মন বেদনাবিধুর হয়ে ওঠে। মনে
যৌবনপুস্প মঞ্জুরিত হয়। কিন্তু প্রেমিকের সঙ্গ পায় না বলেই প্রেমলতায় বিরহের ফুল
ফোটে। তাই অশান্ত মন ব্যর্থতার নিরানন্দে ছেয়ে যায়।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
৯৯৪ । পৃষ্ঠা: ৩০৪]
- রেকর্ড: এইচএমভি ১৯৭৭। নম্বর ৭ই পিই ৩১৭১। শিল্পী: দীপালি নাগ।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি ও প্রেম