এটি রবীন্দ্রনাথের রচিত একটি নাটক। নাটকটি ১৩১৮ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে শিলাইদহে রচিত। রচনার পর কলকাতার প্রশান্ত মহলানবীশের বাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ নাটকটি আগাগোড়া পাঠ করে শোনান। সে সময় ইনি এর নাম ‘গুরু’ বা ‘অচলায়তন’ রাখার প্রস্তাব করেন। কিন্তু উপস্থিত শ্রোতাদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত নাটকটির নাম ‘অচলায়তন’ রাখা হয়। ১৩১৮ বঙ্গাব্দেই নাটকটি প্রবাসী পত্রিকাতে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ওই একই বৎসরে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলীর একাদশ খণ্ডে স্থান পেয়েছে। দেখুন : অচলায়তন (রবীন্দ্ররচনাবলী)
এর দৃশ্য সংখ্যা ছয়।
এই ছয়টি দৃশ্যে মোট ২৩টি গান রয়েছে।
নিচে গানগুলির একটি তালিকা দেওয়া হলো।
১. অচলায়তনের গৃহ :
তুমি
ডাক দিয়েছ কোন্ সকালে।
দূরে
কোথায় দূরে দূরে।
পূজা-৪৪০।
২.
পাহাড়-মাঠ :
এ পথ গেছে
কোন্খানে গো কোন্খানে।
পূজা-৩৮৯।
আমরা চাষ করি আনন্দে
কঠিন লোহা কঠিন ঘুমে ছিল অচেতন
সব কাজে হাত লাগাই মোরা
ঘরেতে ভ্রমর এলো গুন্গুনিয়ে
এই একলা মোদের হাজার মানুষ
যা হবার তা হবে
আমি
কারে ডাকি গো
বুঝি এল,
বুঝি এল,
ওরে প্রাণ
আজ যেমন করে গাইছে আকাশ
হারে রে রে রে রে
৩.
অচলায়তন :
ওরে ওরে ওরে আমার মন মেতেছে
৪. দর্ভকপল্লী :
এই মৌমাছিদের ঘরছাড়া করেছে রে
ও অকূলের কূল (তথ্য)
আমরা তারেই জানি তারেই জানি সাথের সাথি
সকল জনম ভ'রে
উতলধারা বাদল ঝরে
৫. অচলায়তন :
আলো,
আমার আলো,
ওগো
যিনি সকল কাজের কাজী
৬. দর্ভকপল্লী :
আমি যে সব নিতে চাই
আমি
যে সব নিতে চাই [বিচিত্র-৪৫]
[তথ্য]