গীতিমাল্য

             

    ‌        ৮৫
বল তো এইবারের মতো,
        প্রভু, তোমার আঙিনাতে
            তুলি আমার ফসল যত।
কিছু-বা ফল গেছে ঝরে,
কিছু-বা ফল আছে ধরে,
            বছর হয়ে এল গত।
রোদের দিনে ছায়ায় বসে
            বাজায় বাঁশি রাখাল যত।
হুকুম তুমি কর যদি
    চৈত্র-হাওয়ায় পাল তুলে দিই,
            ওই-যে মেতে ওঠে নদী।
পার করে নিই ভরা তরী,
মাঠের যা কাজ সারা করি
            ঘরের কাজে হই গো রত।
এবার আমার মাথার বোঝা
    ‌        পায়ে তোমার করি নত।

২২ চৈত্র [১৩২০]

                ৮৭
ওদের সাথে মেলাও, যারা
            চরায় তোমার ধেনু,
তোমার নামে বাজায় যারা বেণু।
            পাষাণ দিয়ে বাঁধা ঘাটে   
            এই-যে কোলাহলের হাটে
                কেন আমি কিসের লোভে এনু।

        কী ডাক ডাকে বনের পাতাগুলি,   
        কার ইশারা-তৃণের অঙ্গুলি !
                প্রাণেশ আমার লীলাভরে
                খেলেন প্রাণের খেলাঘরে,
                    পাখির মুখে এই-যে খবর পেনু।
২৩ চৈত্র [১৩২০]
 

                            ৮৯  
তুমি যে    সুরের আগুন         লাগিয়ে দিলে 
                                        মোর
 প্রাণে
 আগুন      ছড়িয়ে গেল 
                         
সব খানে
        যত সব       মরা গাছের ডালে ডালে
                        নাচে আগুন তালে তালে
       
আকাশে      হাত তোলে সে 
                         কার
 পানে?
আঁধারের      তারা যত           অবাক হয়ে 
                                         রয়
 চেয়ে,
কোথাকার     পাগল হাওয়া 
                    
বয় ধেয়ে
        নিশীথের      বুকের মাঝে এই-যে অমল
                         উঠল ফুটে স্বর্ণকমল,
       
আগুনের           কী গুণ আছে 
                              কে
 জানে


২৪ চৈত্র [১৩২০]