সমুখে শান্তিপারাবার-
ভাসাও তরণী হে কর্ণধার।
তুমি হবে চিরসাথি, লও লও হে ক্রোড় পাতি-
অসীমের পথে জ্বলিবে জ্যোতি ধ্রুবতারকার॥
মুক্তিদাতা, তোমার ক্ষমা তোমার দয়া
হবে চিরপাথেয় চিরযাত্রার।
হয় যেন মর্তের বন্ধনক্ষয়, বিরাট বিশ্ব বাহু মেলি লয়-
পায় অন্তরে নির্ভয় পরিচয় মহা-অজানার॥
ক. গীতবিতানের আনুষ্ঠানিক সংগীত পর্যায়ের ১৩ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান
পঞ্চপঞ্চাশত্তম (৫৫) খণ্ডের ১৫ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি :
১. বিশ্বভারতী নিউজ (৮। ১৯৪১)
২. প্রবাসী (৫। ১৩৪৮)
গানটি রবীন্দ্রনাথের মৃত্যর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. রচনাকাল ও স্থান : ৩ ডিসেম্বর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ।
[স্বরবিতান ৫৫]
রবীন্দ্রনাথের
৭৮ বৎসর বয়সের রচনা।
ঘ. প্রাসঙ্গিক পাঠ : ১৩৪৬ সালের দিকে ডাকঘর নাটকের মহড়ার সময়, রবীন্দ্রনাথ এই
গানটি রচনা করেছিলেন। এই গানটি যেন তাঁর মৃত্যুর পর গাওয়া হয়, এমন ইচ্ছা ব্যক্ত
করেছিলেন। এবং যথারীতি, রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর- ২২ শ্রাবণ সন্ধ্যায়
শান্তিনিকেতন মন্দিরে এবং ৩২ শ্রাবণ শ্রাদ্ধবাসরে শান্তিনিকেতনে গীত হয়েছিল।
মুলত এই গানটি 'ডাকঘর' নাটকের জন্য রচিত হলেও, ওই নাটকটি মঞ্চস্থ না হওয়ার কারণে- প্রকাশ্যে পরিবেশিত হয় নি। মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথ নিজেই এই গানটি গাইতেন। এ
বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু ব্যক্তির রচনা থেকে যা জানা যায়, তা হলো-এটি একটি ভাঙা গান।
ইন্দিরাদেবী তাঁর রবীন্দ্রসংগীতের ত্রিবেণী সংগম গ্রন্থে এই গানের মূল গানের উল্লেখ
করেছেন। গানটি হলো- লাইরি মোরে শ্যাম ইদোরিয়া [পূরবী]
ঙ. স্বরলিপিকার : শৈলজারঞ্জন মজুমদার
চ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী : স্বরবিতান-৫৫-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত
স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন
দেখানো হয়েছে,
৪।৪
ছন্দ ;
অর্থাৎ তালটি কাহারবা'
হিসাবে
গণ্য করা
যেতে পারে।
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।