বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তিমিরময় নিবিড় নিশা নাহি রে নাহি দিশা
পাঠ ও পাঠভেদ:
তিমিরময় নিবিড় নিশা নাহি রে নাহি দিশা—
একেলা ঘনঘোর পথে, পান্থ, কোথা যাও॥
বিপদ দুখ নাহি জানো, বাধা কিছু না মানো,
অন্ধকার হতেছ পার— কাহার সাড়া পাও॥
দীপ হৃদয়ে জ্বলে, নিবে না সে বায়ুবলে—
মহানন্দে নিরন্তর একি গান গাও।
সমুখে অভয় তব, পশ্চাতে অভয়রব—
অন্তরে বাহিরে কাহার মুখ চাও॥
ক: রচনাকাল ও স্থান:
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
গীতবিতানের বিচিত্র পর্যায়ের ১০১ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান ষট্ত্রিংশ (৩৬) খণ্ডের ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ২৭-২৮।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
ভাঙা গান: এটি একটি ভাঙা গান।
ইন্দিরাদেবী তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীত ত্রিবেণী সংগম' এই গানটিকে ভাঙা গান হিসেবে
তালিকাভুক্ত করেছেন।
মূলগানটি তানসেন-এর রচিত। [শ্রবণ
নমুনা: মূরলী নায়ার]
মূল গান:
মেঘ। ঝাঁপতাল
প্রবল দল মেঘ ঝুক ঝুম য়া ভুম পর
উমড ঘন ঘোর ঝর ইন্দ্র লায়ো।
বরখত মুষলধার
হোত পহর চার
কৃষ্ণ গিরিধর
গোকুল কো বচায়ো।
বুঁদনতে
ধরনীধর সবহিকী রক্ষা কর
পশু পঞ্ছী
জীবজন্তু অতি সুখ পায়ো।
তানসেনকে
প্রভু তেরী গতি অদ্ভুত
সুরপতি অধীন
হোয় শীষ নবায়ো॥
[সূত্র: রবীন্দ্রসঙ্গীতের
ভাঙাগানের উৎস সন্ধান। সুনির্মল ভট্টাচার্য]
সুর ও তাল:
রাগ: মেঘ। তাল: ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৫৪]।