বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
(আমি)
শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি
পাঠ ও পাঠভেদ:
(আমি) শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি
মম জল-ছলোছলো আঁখি মেঘে মেঘে॥
(আমরা বেদনা ব্যাপিয়া যায় গো বেণুবনমর্মরে মর্মরে॥)
বিরহদিগন্ত পারায়ে সারা রাতি
অনিমেষে আছে জেগে মেঘে মেঘে॥
(বিরহের পরপারে খুঁজিছে আকুল আঁখি
মিলনপ্রতিমাখনি— খুঁজিছে।)
যে গিয়েছে দেখার বাহিরে
আছে তারি উদ্দেশে চাহি রে।
(সে যে চোখে মোর জল রেখে গেছে চোখের সীমানা পারায়ে।)
স্বপ্নে উড়িছে তারি কেশরাশি
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে॥
(কেশের পরশ তার পাই রে
পুরব-পবন-বেগে মেঘে মেঘে।)
শ্যামল তমালবনে
যে পথে সে চলে গিয়েছিল বিদায়গোধূলিখনে
বেদনা জড়ায়ে আছে তারি ঘাসে—
(তার না বলা কথার বেদনা বাজে গো—
চলার পথে পথে বাজে গো।)
কাঁপে নিশ্বাসে—
সেই বারে বারে ফিরে ফিরে চাওয়া
ছায়ার রয়েছে লেগে মেঘে মেঘে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: MS. NO 111:
পাঠভেদ: আখরবিহীন এই গানটি গীতবিতানের প্রকৃতি পর্যায়ের ১০৬ সংখ্যক গান হিসেবে পাওয়া যায়। নিচের এই গানটির পাঠ দেওয়া হলো
আমি শ্রাবণ-আকাশে ওই দিয়েছি পাতি
মম জল-ছলো-ছলো আঁখি মেঘে মেঘে।
বিরহদিগন্ত পারায়ে সারা রাতি অনিমেষে আছে জেগে॥
যে গিয়েছে দেখার বাহিরে আছে তারি উদ্দেশে চাহি রে,
স্বপ্নে উড়িছে তারি কেশরাশি পুরবপবনবেগে॥
শ্যামল তমালবনে
যে পথে সে চলে গিয়েছিল বিদায়গোধূলি-খনে
বেদনা জড়ায়ে আছে তারি ঘাসে, কাঁপে নিশ্বাসে—
সেই বারে বারে ফিরে ফিরে চাওয়া ছায়ায় রয়েছে লেগে॥
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ভাদ্র ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৭৬ বৎসর ৫ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)।
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
প্রকৃতি (উপ-বিভাগ: বর্ষা-৮১) পর্যায়ের ১০৬ সংখ্যক গান।
বিচিত্র পর্যায়ের ১৩৯ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান দ্বিষষ্টিতম (৬২) খণ্ডের তৃতীয় গান। পৃষ্ঠা : ১০-১৪।
পত্রিকা:
প্রবাসী (কার্তিক ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ)।
সুরঙ্গমা পত্রিকা (১৩৮৬ বঙ্গাব্দ)। শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি সহ মুদ্রিত।
পরিবেশনা: ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের ৩০শে শ্রাবণ শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্রমের ছাত্র বীরেশ্বর গোস্বামী (নিত্যানন্দ গোস্বামীর পুত্র) হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে, অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়। পরে কলকাতার 'ছায়া' রঙ্গমঞ্চে বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান দ্বিষষ্টিতম (৬২) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ। [স্বরলিপি]
রাগ : সাহানা (আখরযুক্ত)। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৩]
রাগ: কাফি, গৌড়মল্লার (জ্ঞ)। তাল: কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬২]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।