বালিকা। হায়, কী দশা হল আমার!
কোথা গো মা করুণাময়ী, অরণ্যে প্রাণ যায় গো।
মুহূর্তের তরে মা গো, দেখা দাও আমারে—
জনমের মতো বিদায়॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: বাল্মীকি প্রতিভা দ্বিতীয় সংস্করণে গানটির প্রথম ছত্রে ভিন্নতা আছে― 'হায়, কী দশা হল আমার' স্থলে 'হা কি দশা হ'ল আমার' (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২) রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: বাল্মীকি
প্রতিভা রচনার সুনির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায় না। বাল্মীকি প্রতিভার প্রথম
সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে। ফাল্গুন মাসের ১৬
তারিখে (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ), এই গীতিনাট্যটি জোড়াসাঁকোর
ঠাকুরবাড়ির তেতলার ছাদে বিদ্বজ্জন সমাগম উপলক্ষে মঞ্চস্থ হয়েছিল। গ্রন্থ
প্রকাশের বিবেচনায় বলা যায় এই গীতিনাট্যটি রবীন্দ্রনাথ রচনা শেষ করেছিলেন
পৌষ বা মাঘ মাসের দিকে। গ্রন্থটি প্রকাশের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ১৯
বৎসর ১০ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
প্রথম সংস্করণ (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ফাল্গুন ১২৮৭)। দ্বিতীয় দৃশ্য। বালিকার গান। গারা ভৈরবী। [সূত্র: রবীন্দ্ররচনাবলী অচলিত সংগ্রহ প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৯২। পৃষ্ঠা: ৫৩৫)]
প্রথম সংস্করণ (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ফাল্গুন ১২৮৭)। দ্বিতীয় দৃশ্য। বালিকার গান। গারা ভৈরবী। [ দ্রষ্টব্য: রবীন্দ্ররচনাবলী অচল সংগ্রহ প্রথম খণ্ড (বিশ্বভরতী ১৩৯২ মাঘ)। পৃষ্ঠা: ৫৩৫]
দ্বিতীয় সংস্করণ (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২)। তৃতীয় দৃশ্য, অরণ্য। বালিকার গান। গারা ভৈরবী। পৃষ্ঠা: ১২। [নমুনা: ১২]
স্বরবিতান ঊনপঞ্চাশত্তম খণ্ড (বাল্মীকিপ্রতিভা, বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩), বাণী অংশ: পৃষ্ঠা ১৪, স্বরলিপি অংশ: পৃষ্ঠা ৫৭।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
প্রথম ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ১৬ই ফাল্গুন (২৬
ফেব্রুয়ারি ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির তেতলার ছাদে
বিদ্বজ্জন সমাগম উপলক্ষে বাল্মীকি প্রতিভা মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই সময়
প্রথম গানটি প্রথম সর্বসমক্ষে উপস্থাপিত হয়। ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন
মাসে গীতিনাট্যটি পুস্তাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। এই গীতিনাট্যের সময়
প্রথম মুদ্রিতাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। ১২৯২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত এই
গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের সাথে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি: বাল্মীকি প্রতিভায় এটি বালিকার গান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
ভাঙা গান: এই গানটির সুর অনুসরণ করে শ্যামা নাট্যের 'হায়, এ কী সমাপন' গানটির সুর তৈরী করা হয়। অপরদিকে এই গানটির মূল সুর নেয়া হয় 'হালমে রবে রবা' নামক একটি ফারসী গান হতে।
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার:
মূল স্বরলিপিটি কার, তা স্পষ্ট নয়।
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান ঊনপঞ্চাশত্তম (বাল্মীকিপ্রতিভা, বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ঊনপঞ্চাশত্তম খণ্ডে (বাল্মীকিপ্রতিভা, বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রা ছন্দে ত্রিতাল তালে নিবদ্ধ।
গারা ভৈরবী। [বাল্মীকি প্রতিভা দ্বিতীয় সংস্করণ (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২)]।
রাগ : ভৈরবী। তাল : ত্রিতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৩।
রাগ: ভৈরবী। তাল: ত্রিতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৪।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: ণ্সা।
লয়: