সখীগণ। আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়,
সখীর হৃদয় কুসুমকোমল―
কার অনাদরে আজি ঝরে যায়!
কেন কাছে 'আস', কেন মিছে 'হাস',
কাছে যে আসিত সে তো আসিতে না চায়।
সুখে আছে যারা, সুখে থাক্ তারা,
সুখের বসন্ত সুখে হোক সারা―
দুখিনী নারীর নয়নের নীর
সুখী জনে যেন দেখিতে না পায়।
তারা দেখেও দেখে না,
তারা বুঝেও বোঝে না,
তারা ফিরেও না চায়॥
- গ্রন্থ
- কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। মায়ার খেলা। সপ্তম দৃশ্য। সখীগণের গান । পৃষ্ঠা: ১৫০] [নমুনা]
- গীতবিতান
- গীতবিতান প্রথম খণ্ড (প্রথম সংস্করণ) [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮], মায়ার খেলা প্রথম সংস্করণ (১২৯৫ বঙ্গাব্দ)] থেকে গৃহীত হয়েছিল। সপ্তম দৃশ্য। সখীগণের গান । মিশ্র ঝিঁঝিট। পৃষ্ঠা: ৭৬-৭৭। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। মায়ার খেলা। সপ্তম দৃশ্য। কানন। সখীগণের গান। পৃষ্ঠা: ৬৭৯।
- মায়ার খেলা (গীতিনাট্য)
- প্রথম সংস্করণ [অগ্রহায়ণ ১২৯৫] সপ্তম দৃশ্য। মিশ্র ঝিঁঝিট। সখীগণের গান। পৃষ্ঠা: ৫৭। [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ, শেষাংশ]
- রবীন্দ্ররচনাবলী প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী), জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৬] মায়ার খেলা। সপ্তম দৃশ্য। সখীগণের গান । পৃষ্ঠা: ২৫৪-২৫৫।
- গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০)।
- স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪ বঙ্গাব্দ)। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর - কৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।
- রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী, ১৩১১)।
- বিবিধ সঙ্গীত, গান (ইণ্ডিয়ান প্রেস, ১৩১৬)।
- মায়ার খেলা (বিশ্বভারতী ১৩৯৬)। বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী (প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৫৪-৫)
- স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ, মায়ার খেলা (বিশ্বভারতী আষাঢ় ১৪১৩)। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ২৯-৩০। স্বরলিপি অংশ: পৃষ্ঠা ১২৯-১৩১।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর [স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪ বঙ্গাব্দ)]
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী। [স্বরবিতান ৪৮, মায়ার খেলা (বিশ্বভারতী আষাঢ় ১৪১৩)]।
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ (৪৮, মায়ার খেলা) খণ্ডের (আষাঢ় ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) সুরভেদ/ছন্দভেদ অংশে 'স্বরলিপি-গীতিমালা'য় মুদ্রিত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর -কৃত স্বরলিপিটির সুরভেদ দেখানো হয়েছে (পৃষ্ঠা ১৫৯-১৬০)।
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ খণ্ডের (আষাঢ় ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রা ছন্দে একতাল তালে নিবদ্ধ।
পাশ্চাত্য ভাঙা সুর। তাল: ত্রিতাল। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৪।]
রাগ: পাশ্চাত্য তাল: ত্রিতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৪।]
গ্রহস্বর- সা।
লয়- মধ্য।