সখীগণ । তুমি কে গো, সখীরে কেন জানাও বাসনা।
দ্বিতীয়া । কে জানিতে চায় তুমি ভালোবাস কি ভালোবাস না।
প্রথমা । হাসে চন্দ্র, হাসে সন্ধ্যা, ফুল্ল কুঞ্জকানন,
হাসে হৃদয়বসন্তে বিকচ যৌবন।
তুমি কেন ফেল শ্বাস, তুমি কেন হাস না।
সকলে । এসেছ কি ভেঙে দিতে খেলা―
সখীতে সখীতে এই হৃদয়ের মেলা―
দ্বিতীয়া । আপন দুঃখ আপন ছায়া লয়ে যাও।
প্রথমা । জীবনের আনন্দপথ ছেড়ে দাঁড়াও।
তৃতীয়া । দূর হতে করো পূজা হৃদয়কমল-আসনা ॥
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা। (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০)।
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী, ১৩১১)।
মায়ার খেলা (বিশ্বভারতী ১৩৯৬)। বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী (প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৪৭)
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ, মায়ার খেলা (বিশ্বভারতী আষাঢ় ১৪১৩)। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ২৩। স্বরলিপি অংশ: পৃষ্ঠা ১০২-১০৪।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী। [স্বরবিতান ৪৮, মায়ার খেলা (বিশ্বভারতী আষাঢ় ১৪১৩)]
রাগ ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ খণ্ডের (আষাঢ় ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বিলাবল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।। পৃষ্ঠা: ৫৫]।
রাগ: কেদারা। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ৯৭।
[স্বরলিপি]গ্রহস্বর- মা। লয়- মধ্য।