বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: একবার তোরা মা বলিয়া ডাক্
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান অখণ্ড (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর পাঠ: পূজা (দুঃখ-২০) পর্যায়ের ২১১ সংখ্যক গান।
একবার তোরা মা বলিয়া ডাক্ , জগতজনের শ্রবণ জুড়াক,
হিমাদ্রিপাষাণ কেঁদে গলে যাক মুখ তুলে আজি চাহো রে॥
দাঁড়া দেখি তোরা আত্মপর ভুলি, হৃদয়ে হৃদয়ে ছুটুক বিজুলি-
প্রভাতগগনে কোটি শির তুলি নির্ভয়ে আজি গাহো রে॥
বিশ কোটি কন্ঠে মা ব'লে ডাকিলে রোমাঞ্চ উঠিবে অনন্ত নিখিলে,
বিশ কোটি ছেলে মায়েরে ঘেরিলে দশ দিক সুখে হাসিবে ।
সেদিন প্রভাতে নূতন তপন নূতন জীবন করিবে বপন
এ নহে কাহিনী, এ নহে স্বপন আসিবে সে দিন আসিবে॥
আপনার মায়ে মা বলে ডাকিলে, আপনার ভায়ে হৃদয়ে রাখিলে,
সব পাপ তাপ দূরে যায় চলে পুণ্য প্রেমের বাতাসে ।
সেথায় বিরাজে দেব-আশীর্বাদ না থাকে কলহ, না থাকে বিষাদ—
ঘুচে অপমান, জেগে ওঠে প্রাণ বিমল প্রতিভা বিকাশে॥
Ms no 434
পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে।
দশ দিক সুখে হাসিবে... : ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ২ (মাঘ ১৩১২)
দশ দিক্ সুখে ভাসিবে... : শতগান (১৩০৭)
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
না থাকে কলহ, না থাকে বিষাদ : গানের বহি ও বাল্মীকি-প্রতিভা (১৩০০)
না থাকে কলহ, না থাকে বিবাদ : শতগান (১৩০৭)
: ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ২ (মাঘ ১৩১২)
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:রবীন্দ্রনাথের ২৪ বৎসর বয়সের রচনা।
- খ.প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
গানের বহি বাল্মীকি প্রতিভা
[আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩৩০]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড,
প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮,
কাব্য-গ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৪৭-১৪৮]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। জাতীয় সংগীত পর্যায়ের ১১ সংখ্যক গান।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১১ মাঘ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। মিশ্র
ঝিঝিট-একতালা। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। ঝিঁঝিট-একতালা। গান সংখ্যা ৩৪
৫। পৃষ্ঠা:
১০৩৯-৪০।
[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ
(৪৭) খণ্ডের ১৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫৬-৫৮।
[নমুনা]
পত্রিকা: তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ও চৈত্র ১২৯১)
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি দ্বিতীয় ভাগ থেকে স্বরবিতান ৪৭ খণ্ডে গৃহীত হয়েছে।
- সুর ও তাল:
- স্বরবিতান ৪৭ খণ্ডে গানটির রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩। ছন্দে একতালে নিবদ্ধ।
- অঙ্গ: কীর্তন। তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর
২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৭]
- অঙ্গ: কীর্তন। তাল: একতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৮।]
- গ্রহস্বর-মা
- লয়-দ্রুত।