বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: হে ভারত, আজি তোমারি সভায়
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান ( বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: জাতীয় সংগীত : ১৩
হে
ভারত, আজি তোমারি সভায় শুন এ কবির গান।
তোমার
চরণে নবীন হরষে এনেছি পূজার দান।
এনেছি
মোদের দেহের শকতি, এনেছি মোদের মনের ভকতি,
এনেছি
মোদের ধর্মের মতি, এনেছি মোদের প্রাণ-
এনেছি
মোদের শ্রেষ্ঠ অর্ঘ্য তোমারে করিতে দান
॥
কাঞ্চনথালি নাহি আমাদের, অন্ন নাহিকো জুটে।
যা আছে
মোদের এনেছি সাজায়ে নবীন পর্ণপুটে।
সমারোহে আজ নাই প্রয়োজন- দীনের এ পূজা, দীন আয়োজন-
চিরদারিদ্র্য করিব মোচন চরণের ধুলা লুটে।
সুরদুর্লভ তোমার প্রসাদ লইব পূর্ণপুটে॥
রাজা
তুমি নহ, হে মহাতাপস, তুমিই প্রাণের প্রিয়।
ভিক্ষাভূষন ফেলিয়া পরিব তোমারি উত্তরীয়।
দৈন্যের মাঝে আছে তব ধন, মৌনের মাঝে রয়েছে গোপন
তোমার
মন্ত্র অগ্নিবচন- তাই আমাদের দিয়ো।
পরের
সজ্জা ফেলিয়া পরিব তোমারি উত্তরীয়।
দাও
আমাদের অভয়মন্ত্র, অশোকমন্ত্র তব।
দাও
আমাদের অমৃতমন্ত্র, দাও গো জীবন নব।
যে
জীবন ছিল তব তপোবনে, যে জীবন ছিল তব রাজাসনে,
মুক্ত
দীপ্ত সে মহাজীবনে চিত্ত ভরিয়া লব।
মৃত্যুতরণ শঙ্কাহরণ দাও সে মন্ত্র তব॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
হে
ভারত, আজি তোমারি সভায়
তোমার চরণে
নবীন হরষে
পরের সজ্জা ফেলিয়া পরিব
তোমারি উত্তরীয় :
সঙ্গীত-প্রকাশিকা (অগ্রহায়ণ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)।
কাব্যগ্রন্থ ৮
হে ভারত, আজি নবীন বর্ষে
তোমার চরণে
নবীন হর্ষে
পরের সজ্জা ফেলিয়া পরিব
তোমার উত্তরীয় :
কাব্যগ্রন্থ ৮
"সুরদুর্লভ
তোমার
প্রসাদ লইব পূর্ণপুটে" ছত্রটি
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম ভাগে নাই। [স্বরবিতান
সপ্তচত্বারিংশ (৪৭), বিশ্বভারতী,
পৌষ
১৪১২, পৃষ্ঠা
১১৩।]
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৯
ভাদ্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ (৫ সেপ্টেম্বর ১৯১৪) সুরুল।
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
উৎসর্গ
-
প্রথম
সংস্করণ ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
-
রবীন্দ্ররচনাবলী,
দশম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮৮।
-
কাব্যগ্রন্থ
- গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'মোহিত
সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
২৪৬-২৪৭][নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
অখণ্ড,
তৃতীয়
সংস্করণ
(বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২) ,
পর্যায়:
জাতীয় সংগীত ১৩,
পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
-
চয়নিকা
(ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩১৬)। শিরোনাম:
নববর্ষের গান। পৃষ্ঠা: ৪৫৩-৪৫৪।[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ (৪৭)
খণ্ড (বিশ্বভারতী,
পৌষ
১৪১২),
গান
সংখ্যা:
২৫,
< পৃষ্ঠা
৯৬-১০০।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
সঙ্গীত-প্রকাশিকা (অগ্রহায়ণ ১৩১২ বঙ্গাব্দ)। ইমন কল্যাণ-একতাল।
- গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
- স্বরলিপি:
[স্বরলিপি]
- স্বরলিপিকার: অনুল্লিখিত।
- সুর
ও তাল:
-
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ(৪৭) খণ্ডে
(বিশ্বভারতী,
পৌষ ১৪১২)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে ' একতাল'
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ :
ইমন কল্যাণ। তাল : একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৮৫।
-
রাগ:
ইমন ভূপালী। তাল : একতাল।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ১৪৭
-
সুরাঙ্গ:
-
গ্রহস্বর:
র্সা।
-
লয়: