চির-পুরানো চাঁদ,
চিরদিবস এমনি থেকো আমার এই সাধ॥
পুরানো হাসি পুরানো সুধা মিটায় মম
পুরানো ক্ষুধা
—
নূতন কোনো চকোর যেন পায় না পরসাদ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে
চির-পুরানো চাঁদ,
চিরদিবস এমনি থেকো আমার এই সাধ॥
পুরানো হাসি পুরানো সুধা মিটায় মম পুরানো ক্ষুধা—
নূতন কোনো চকোর যেন পায় না পরসাদ॥ [গীতবিতান
, (বিশ্বভারতী,পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)]
ওগো
চির-পুরাণো চাঁদ!
তুমি চির দিবস এমনি থেকো
আমার এই সাধ॥
ঐ পুরাণো হাসি
পুরাণো সুধা, মিটায় মম পুরাণো ক্ষুধা—
নূতন কোনো চকোর যেন পায় না পরসাদ॥
[ভারতী জ্যৈষ্ঠ ১৩০৭ বঙ্গাব্দ)]
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান: ভারতী পত্রিকার ১৩০৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ সংখ্যা
থেকে রবীন্দ্রনাথের রচিত 'চিরকুমার সভা' নামক উপন্যাস প্রকাশিত হত থাকে। এই
উপন্যাসে প্রথমাংশে অক্ষয়ের গান হিসেবে এই গানটি ব্যবহার করা হয়। এই গানটি ১৩০৭
বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসে এই উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের সাথে প্রকাশিত হয়েছিল।
সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ গানটি ১৩০৭
খ্রিষ্টাব্দের বৈশাখ মাসে রচনা করেছিলেন। এই বিচারে বলা
যায় যে, গানটি রবীন্দ্রনাথ ৩৮ বৎসর বয়সের শেষের দিকে রচনা করেছিলেন।