বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা: ৪৩
শিরোনাম:
ছিলে কোথা বলো,
কত কী যে হল
পাঠ ও পাঠভেদ:
ছিলে কোথা বলো, কত কী যে হল
জান না কি তা? হায় হায়, আহা!
মানদায়ে যায় যায় বাসরের প্রাণ-
এখানে কী কর, তুমি ফুলশর
তারে গিয়ে করো ত্রাণ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১২৮৬ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের প্রথম
সপ্তাহে বিলেত থেকে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এই সময় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর
'মানময়ী' গীতি-নাটকটি রচনা করছিলেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী
দ্বিতীয় খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড, ১৩৯১ শ্রাবণ ২২, পৃষ্ঠা ৬৫) এই
গীতিনাট্যটির প্রথম অভিনয় সম্পর্কে লিখেছেন- 'বিলেত থেকে ফিরে আসার পর, সম্ভবত
জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর উৎসাহেই, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে 'আপনাআপনির মধ্যে' গীতিনাট্যটির
অভিনয় হয়;....ছুটির শেষে [২৯ বৈশাখ সোম
10 May 1880]
সত্যেন্দ্রনাথ সুরাটে তাঁর নতুন কাজে যোগদান করার জন্য
যাত্রার পূর্বেই গীতনাট্যটি অভিনীত হয়েছিল, এই অনুমান যথার্থ হলে বলতে হয় বৈশাখের
প্রথমার্ধেই [Apr
1880]
অভিনয় কার্য নিষ্পন্ন হয়।'
উল্লিখিত 'মানময়ী' গীতিনাট্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। ধারণা করা যায়
এই গানটি ১২৮৬ বঙ্গাব্দের
চৈত্র মাসের শেষার্ধ থেকে ১২৮৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের প্রথমার্ধে- মানময়ী'
গীতি-নাট্যের জন্য রচিত হয়েছিল। এই বিচারে বলা যায়- এই গানটি রচনার সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ১৮ বৎসর ১২ মাস।