বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা: ৪৪
শিরোনাম:
ছিলে কোথা বলো,
কত কী যে হল
পাঠ ও পাঠভেদ:
চলো চলো, চলো চলো, চলো চলো ফুলধনু,চলো যাই কাজ সাধিতে।
দাও বিদায় রতি গো!
এমন এমন ফুল দিব আনি
পরখিবে মানিনীহৃদয়ে হানি,
মরমে মরমে রমণী অমনি
থাকিবে গো দহিতে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১২৮৬ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের প্রথম
সপ্তাহে বিলেত থেকে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এই সময় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর
'মানময়ী' গীতি-নাটকটি রচনা করছিলেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী
দ্বিতীয় খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড, ১৩৯১ শ্রাবণ ২২, পৃষ্ঠা ৬৫) এই
গীতিনাট্যটির প্রথম অভিনয় সম্পর্কে লিখেছেন- 'বিলেত থেকে ফিরে আসার পর, সম্ভবত
জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর উৎসাহেই, জোড়াসাঁকোর বাড়িতে 'আপনাআপনির মধ্যে' গীতিনাট্যটির
অভিনয় হয়;....ছুটির শেষে [২৯ বৈশাখ সোম
10 May 1880]
সত্যেন্দ্রনাথ সুরাটে তাঁর নতুন কাজে যোগদান করার জন্য
যাত্রার পূর্বেই গীতনাট্যটি অভিনীত হয়েছিল, এই অনুমান যথার্থ হলে বলতে হয় বৈশাখের
প্রথমার্ধেই [Apr
1880]
অভিনয় কার্য নিষ্পন্ন হয়।'
উল্লিখিত 'মানময়ী' গীতিনাট্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। ধারণা করা যায়
এই গানটি ১২৮৬ বঙ্গাব্দের
চৈত্র মাসের শেষার্ধ থেকে ১২৮৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের প্রথমার্ধে- মানময়ী'
গীতি-নাট্যের জন্য রচিত হয়েছিল। এই বিচারে বলা যায়- এই গানটি রচনার সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ১৮ বৎসর ১২ মাস।