বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
যদি ভরিয়া লইবে কুঞ্জ
পাঠ ও পাঠভেদ:
যদি ভরিয়া লইবে কুঞ্জ এসো ওগো, এসো মোর
হৃদয়নীরে।
তলতল ছলছল কাঁদিবে গভীর জল
ওই দুটি সুকোমল চরণ ঘিরে।
আজি বর্ষা গাঢ়তম, নিবিড়কুন্তলসম
মেঘ নামিয়াছে মম দুইটি তীরে।
ওই-যে শবদ চিনি, নূপুর রিনিকিঝিনি―
কে গো তুমি একাকিনী আসিছ ধীরে।
যদি ভরিয়া লইবে কুম্ভ এসো ওগো, এসো মোর
হৃদয়নীরে॥
যদি মরণ লভিতে চাও এসো তবে ঝাঁপ দাও
সলিলমাঝে।
স্নিগ্ধ শান্ত সুগভীর- নাহি তল, নাহি তীর,
মৃত্যুসম নীল নীর স্থির বিরাজে।
নাহি রাত্রিদিনমান- আদি অন্ত পরিমাণ,
সে অতলে গীতগান কিছু না বাজে।
যাও সব যাও ভুলে নিখিলবন্ধন খুলে
ফেলে দিয়ে এসো কূলে সকল কাজে।
যদি ভরিয়া লইবে কুম্ভ এসো ওগো, এসো মোর
হৃদয়নীরে।
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ: মূল কবিতার প্রথম ও শেষ স্তবক নিয়ে এই গানটি গীতবিতানে অন্তর্ভূক্ত হয়।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১২ আষাঢ় ১৩০০ বঙ্গাব্দ। শিলাইদহ।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। সোনার তরী। শিরোনাম: হৃদয়-যমুনা। পৃষ্ঠা ৩২৭-৩২৮] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৮০) পর্যায়: প্রেম ও প্রকৃতি : ৫২, পৃষ্ঠা: ৮৯২-৮৯৩। [নমুনা: ] ভৈরবী-ঝাঁপতাল
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩১৬]
রেকর্ডসূত্র: নাই।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
স্বরলিপিকার:
সুর ও তাল:
গীতবিতান-এর [অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৮০)] প্রথম ছত্রের সূচীতে রাগ ও তালের নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ভৈরবী ও ঝাঁপতাল।
রাগ : ভৈরবী। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৮২]
রাগ : ভৈরবী। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৫।
রাগ : ভৈরবী। তাল-ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১২৯।