ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী

বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: তরুণ প্রাতের অরুণ আকাশ শিশির-ছলোছলো
পাঠ ও পাঠভেদ:

গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:

তরুণ প্রাতের অরুণ আকাশ শিশির-ছলোছলো.

নদীর ধারের ঝাউগুলি ওই রৌদ্রে ঝলোমলো।

এমনি নিবিড় ক’রে এরা দাঁড়ায় হৃদয় ভ’রে-

তাই তো আমি জানি বিপুল বিশ্বভুবনখানি

অকূল-মানস-সাগর-জলে কমল টলোমলো।

তাই তো আমি জানি- আমি বাণীর সাথে বাণী,

আমি গানের সাথে গান, আমি প্রাণের সাথে প্রাণ,

আমি অন্ধকারের হৃদয়-ফাটা আলোক জ্বলোজ্বলো॥

পাণ্ডুলিপির পাঠ: [পাণ্ডুলিপি: MS. NO 111: ষষ্ঠ গান। পৃষ্ঠা: ১১]
পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে।
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: পাণ্ডুলিপি-তে গানটির নিচে লেখা আছে, ৭ই কার্তিক, শ্রীনগর কাশ্মীর। উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে ১৩২২ বঙ্গাব্দের ৭ আশ্বিন-এ কলকাতায় আসেন। ৭ আশ্বিন থেকে ২৪ আশ্বিন [শুক্রবার ১ অক্টোবর] পর্যন্ত তিনি কলকাতায় ছিলেন। ২৪শে আশ্বিন তিনি কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। আর কার্তিক মাসের ৭ তারিখে এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৪ বৎসর ৬ মাস বয়সে রচনা করেছিলেন।
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
  - গ্রন্থ:
    - গীতবিতানের প্রেম ও প্রকৃতি পর্যায়ের ৬৩ সংখ্যক গান।
    - স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা , আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডের ৪৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৪৮-১৫০ ।
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
  - স্বরলিপিকার: ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী
  - সুর ও তাল:
    - স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা) খণ্ডে (আশ্বিন ১৪১৬) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩। মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
    - রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৯৫]
      [স্বরলিপি]
    গ্রহস্বর: সা
    লয়: মধ্য।