বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে,
চাও কি
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে, চাও কি—
হায় বুঝি তার খবর পেলে না।
পারিজাতের মধুর গন্ধ পাও কি-
হায় বুঝি তার নাগাল মেলে না॥
প্রেমের বাদল নামল, তুমি জানো না হায় তাও কি।
মেঘের ডাকে তোমার মনের ময়ূরকে নাচাও কি।
আমি সেতারেতে তার বেঁধেছি, আমি সুরলোকের সুর সেধেছি,
তারি তানে তানে মনে প্রাণে মিলিয়ে গলা গাও কি—
হায় আসরেতে বুঝি এলে না।
ডাক উঠেছে বারে বারে, তুমি সাড়া দাও কি!
আজ ঝুলনদিনে দোলন লাগে, তোমার পরান হেলে না॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: Ms.180A।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীত কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে
এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন- '১৯৩৭ সালের বর্ষামঙ্গল উৎসবের
রিহার্সলের সময় রচিত'।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৭৬ বৎসর।
উল্লেখ্য,
১৩৪৪ বঙ্গাব্দের (১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ) ৩০শে শ্রাবণ
শান্তিনিকেতনে 'বর্ষামঙ্গল' উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আশ্রমের অধ্যাপক
নিত্যানন্দ বিনোদ গোস্বামীর পুত্র বীরেশ্বরের হঠাৎ মৃত্যু হয়। এই কারণে এই উৎসবটি
স্থগিত করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্র ১৬টি গান রচনা করেছিলেন।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)।
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-৮৩) পর্যায়ের ১১০ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান ঊনষষ্টিতম (৫৯) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩) দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা : ১০-১২।
পত্রিকা:
প্রবাসী (কার্তিক ১৩৪৪)।
বিশ্বভারতী পত্রিকা (বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৭০)। শৈলজারঞ্জন মজুমদারকৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
পরিবেশনা:
১৩৪৪ বঙ্গাব্দের বর্ষামঙ্গলে গীত হয়েছিল।
রাগ : মিশ্র বাউল ও কীর্তনাঙ্গ। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান । সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৮]
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯১৩)। পৃষ্ঠা : ৩০]।
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৭।]
গ্রহস্বর: না
লয়: ঈষৎ দ্রুত